ইয়াকুব মেমন নয়, ফাঁসি দেওয়া উচিত তার ভাই টাইগার মেমনকে! ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রীর বিরুদ্ধে আদালতের রায় নিয়ে সালমান খানের এই মন্তব্য সমালোচনার ঝড় বইয়ে দিয়েছে ভারতজুড়ে। এই বিতর্কে অবশেষে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন বলিউডের এই সুপারস্টার।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে সালমান মন্তব্য করেন, ইয়াকুবকে ফাঁসি দিলে তাতে মানবতাকেই হত্যা করা হবে। তার ভাই পলাতক টাইগারকেই বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য দোষী বলে উল্লেখ করেন ‘বজরঙ্গি ভাইজান’। এমনকি পাকিস্তানে টাইগার আত্মগোপন করে থাকলে তাকে ভারতে ফেরত পাঠানোর জন্য পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের প্রতি টুইটারে অনুরোধ জানান তিনি।
সালমানের এসব মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি সারাভারতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। বিজেপি সাংসদ কিরিত সোমাইয়া দাবি করেন, সালমানকে ক্ষমা চাইতে হবে। তার কঠোর সমালোচনা করে এই মামলার বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি উজ্জ্বল নিকম মনে করেন, এ ধরনের মন্তব্যে সরাসরি আদালত অবমাননার দায়ে পড়বেন সালমান। এ ছাড়া মুম্বাইয়ে তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী-সমর্থকরা। তাই বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে মুম্বাই পুলিশ।
অবশ্য আগের দিন ইয়াকুবের পক্ষে লিখলেও আজ রোববার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় টুইটারে সালমান বলেছেন, ‘ইয়াকুব নির্দোষ, সে কথা কখনও বলিনি। দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা আছে। ’
মুম্বাই বিস্ফোরণের ঘটনার ২২ বছর পর ওই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ইয়াকুবকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩০ জুলাই নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে তার ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা হবে।
সালমানের বাবা সেলিম খানও ছেলের এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন। তিনি মনে করেন, এমন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে মন্তব্য না করলেই ভালো হতো।
বাংলাদেশ সময় : ১৯৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৫
জেএইচ