ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

কলকাতা থেকে জনি হক

রুনা-নচিকেতার দ্বৈত মুহূর্ত

জনি হক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৫
রুনা-নচিকেতার দ্বৈত মুহূর্ত ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

এই মুহূর্ত আগে কখনও দেখা যায়নি। বাংলাদেশ বিজয় উৎসবে বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ (আলমগীর হোসেন) না পাঠালে আমিও বঞ্চিত হতাম।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়ামে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের পাঁচদিনব্যাপী এই আয়োজনের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) উপভোগ করলাম এই অভূতপূর্ব আর দুর্লভ দৃশ্য।

মঞ্চে তখন গাইছেন বাংলাদেশের গর্ব রুনা লায়লা। দেশাত্মবোধক গান গাওয়ার তিনি দেখতে পান নচিকেতা এসে হাজির। তাই তাকে ডেকে নিলেন। মঞ্চে উঠেই রুনার পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেন নচিকেতা। তার শারীরিক ভঙ্গি আর বিনয় দেখে বোঝার উপায় ছিলো না, তিনি দুই বাংলার তুমুল জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। তার নিজের ঝুলিতে আছে অসংখ্য অর্জন। এই মানুষটিই অসংখ্য জীবনমুখী আর জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা কে বলবে!

শুভেচ্ছা বিনিময়ের নচিকেতাকে গান গেয়ে শোনাতে বলেন রুনা। নচিকেতা তখন বললেন, ‘উনার সঙ্গে যেভাবেই দেখা হয়, যতোবারই দেখা হয়, তার কাছে বায়না ধরে বলি, ওই কাজটা একটু করো। ওইটা একটু দেখাও। উনি বলেছেন, স্বাভাবিকভাবেই আমার কাছে মনে হচ্ছে, উনি আমাকে আদেশ করলেন। ’

এরপর রুনার অনুরোধ রক্ষা করতে নিজের জনপ্রিয় গান ‘বৃদ্ধাশ্রম’ গাওয়ার আগে বললেন, ‘আমি খুব ক্লান্ত। আজ সারাদিন অনেক পথ মাড়িয়ে এসেছি। বোলপুরে কনসার্ট ছিলো। কাল সারারাত ঘুম হয়নি। ভুল হলে মার্জনা করবেন। সবচেয়ে বেশি ভয় উনাকেই (রুনাকে দেখিয়ে)। ’ গান গাওয়া শেষে তিনি বলতে লাগলেন, ‘জীবনে আমি এতো ভয় পাইনি গাইতে গিয়ে, আজ যতোটা পেলাম (রুনা পাশে আছেন বুঝিয়ে)। উনার গান শুনেই আমি বেড়ে উঠেছি। ’

নচিকেতার কথা শুনে রুনা রসিকতার সুরে বলেন, ‘আমার গান শুনে বড় হয়েছো? তার মানে আমার বয়স কতো!’ একথা শুনে মুখ ফুটে হেসে নচিকেতা বলেন, ‘আপনার গান শুনে বড় হয়েছি মানে, শিল্পী হিসেবে বড় হয়েছি। ’ ‍রুনা তখন হেসে ফেলেন। এরপর তাকেও নিজের পছন্দের একটা গান গেয়ে শোনানোর অনুরোধ করেন নচিকেতা। তার আবদার শুনে রুন বললেন, ‘ওরে বাপরে! এমনিতেই শরীরটা বেশি ভালো না, তার ওপর এমন গান গাইতে বলছো!’ নচিকেতা শিশুর মতো বায়না ধরে আছেন দেখে না গেয়ে পারলেন না রুনা।

এরপর এলো সেই অপরিকল্পিত মাহেন্দ্রক্ষণ! একসঙ্গে গাইলেন রুনা ও নচিকেতা। রুনার কালজয়ী গান ‘চলে গেছো তুমি সন্ধ্যা রাতে, নিয়ে গেছো ওই সূর্যটাকে/সেদিন থেকে আমি আলো দেখিনি, আলো দেখিনি, আলো দেখিনি’ দ্বৈত কণ্ঠে পরিবেশন করেন তারা। সবশেষে নচিকেতাকে সম্মাননা স্মারক দেন বাংলাদেশে উপ-হাইকমিশনার জকি আহাদ। কিন্তু চোখে ভেসে ও কানে লেগে আছে তাদের দ্বৈত গান। আহা! কি অপূর্ব সেই মুহূর্ত! না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন! অথচ ঘটনাটা সত্যি!

* রুনা লায়লা ও নচিকেতার দ্বৈত গান গাওয়ার ভিডিও :



* রুনা লায়লার পাশে নচিকেতার ‘বৃদ্ধাশ্রম’ গান গাওয়ার ভিডিও :


 

** তোরা যাসনে ও পাগলের কাছে!
** হিন্দি গান গাইলেনই না রুনা লায়লা
** বাংলাদেশ বিজয় উৎসবে বিপুল দর্শক সমাগম
** বাংলাদেশই বাংলা ভাষাটা ধরে বেঁচে আছে
** জমে উঠেছে বাংলাদেশ বিজয় উৎসব
** বিজয় দিবসের কাকভোরে কলকাতার পথে পথে
** নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়ামে এক টুকরো বাংলাদেশ
**কলকাতায় শুরু হলো বাংলাদেশ বিজয় উৎসব
** ‘মমতার অন্তরের একদিকে পশ্চিমবঙ্গ অন্যদিকে বাংলাদেশ’

কলকাতা সময় : ০১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।