ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

অ্যালিসকে নিয়ে ঢাকায় বিতর্কিত জনি ডেপ!

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৬
অ্যালিসকে নিয়ে ঢাকায় বিতর্কিত জনি ডেপ!

ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্সের জনপ্রিয় কল্পকাহিনী ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’ পাঁচ বছর পর আবার দর্শকদের সামনে ফিরেছে। ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’ ছবিটি সাড়া জাগিয়ে আয় করে ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি।



এর দ্বিতীয় কিস্তি ‘অ্যালিস থ্রো দ্য লুকিং গ্লাস’ যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছে গত ২৭ মে। বাংলাদেশের দর্শকরাও এটি বড় পর্দায় দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। আগামী ৩ জুন রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে ছবিটি।  

আগের পর্বের তারকা জনি ডেপ এবারও আছেন ম্যাড হ্যাটার চরিত্রে। ছবিটি মুক্তির পরপরই আলোচনায় আসেন তিনি। ৫২ বছর বয়সী এই মার্কিন অভিনেতা প্রচারণার কাজে ব্যস্ত থাকার সময় স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগে সংবাদের শিরোনাম হন তিনি। ভক্তরা ভেবেছিলেন, নতুন ছবির ওপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টির জন্য শত্রুরা এ ধরণের গুজব ছড়িয়েছেন। কিন্তু তার স্ত্রী অস্ট্রেলীয় অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি টানার সিদ্ধান্ত নিলে ভক্তরা হতাশ হন। আদালতে অ্যাম্বারের জমা দেওয়া ছবি দেখে ডেপের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা।  

কেউ কেউ ‘অ্যালিস থ্রো দ্য লুকিং গ্লাস’সহ জনি ডেপের নতুন সব ছবি বর্জনের আহ্বান জানান। তবে বিষয়টা সমর্থন করেননি অনেকেই। তাদের মতে, সমস্যাটা তার ব্যক্তিগত। এতে ছবির কোনো অপরাধ নেই। ছবিতে ডেপ একা অভিনয় করেননি, আরও অনেকে আছেন। তাদের কথাও ভাবতে হবে। তারা সবাই এ ছবির জন্য সর্বোচ্চ পরিশ্রম করেছেন। যেমন মিয়া ওয়াসিকোস্কাকে দেখা যাচ্ছে যথারীতি অ্যালিসের ভূমিকায়। এ ছাড়াও অভিনয় করেছেন অ্যান হ্যাথাওয়ে, ম্যাট লুকাস, হেলেনা বোনহ্যাম কার্টার, সাচা ব্যারন কোহেন প্রমুখ।  

আগের ছবির পরিচালক টিম বার্টন এবার আছেন প্রযোজক হিসেবে। পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন জেমস বোবিন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ডেপের কারণে ছবিটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। ডেইলি মিররকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমাদের ‘অ্যালিস থ্রো দ্য লুকিং গ্লাস’ তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলেছে। জনি ডেপ এর অন্যতম তারকা। এতে তার অবদান রয়েছে। ভক্ত-অনুরাগীরা তাকে আঘাত করবেন না। তার কাজকে ছোট করার কোনো সুযোগ নেই। ”


নেতিবাচক প্রভাব যে পড়েনি তা বলা যাবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে মাঝারি মানের ব্যবসা করেছে ‘অ্যালিস থ্রো দ্য লুকিং গ্লাস’। ১৭ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত ছবিটি আয় করেছে প্রায় ১০ কোটি ডলার। খরচ উঠতে পারে, কিন্তু ব্লকবাস্টার যে হচ্ছে না ওই আশঙ্কা পশ্চিমা চলচ্চিত্র বিষয়ক গণমাধ্যমগুলোতে বেশ আলোচিত।

বাংলাদেশ সময় : ১৬০৮ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৬ 
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।