ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

আমেরিকা কাঁপানো ডোরি সাঁতরাবে ঢাকায়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৬
আমেরিকা কাঁপানো ডোরি সাঁতরাবে ঢাকায়

অস্কারজয়ী অ্যানিমেটেড ছবি ‘ফাইন্ডিং নেমো’ মুক্তি পেয়েছিলো ১৩ বছর আগে। অবশেষে এসেছে এর দ্বিতীয় কিস্তি ‘ফাইন্ডিং ডোরি’।

গত ১৭ জুন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তির সপ্তাহে বক্স অফিসে রেকর্ড গড়েছে ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তিতে নির্মিত কম্পিউটার অ্যানিমেটেড কমেডি অ্যাডভেঞ্চার ছবিটি।

সুখবর হলো, আমেরিকা কাঁপানো ‘ফাইন্ডিং ডোরি’ ২৪ জুন থেকে স্টার সিনেপ্লেক্সে দেখার সুযোগ পাবেন বাংলাদেশের দর্শকরা। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য এর বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

জানা গেছে, প্রথম তিন দিনে ‘ফাইন্ডিং ডোরি’ আয় করেছে ১৩ কোটি ৬২ লাখ মার্কিন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিস ইতিহাসে আর কোনো অ্যানিমেটেড ছবির এমন সাফল্যের নজির নেই। এতোদিন রেকর্ডটি ধরে রেখেছিলো ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘শ্রেক দ্য থার্ড’ (১২ কোটি ১৬ লাখ ডলার)।

এমন রেকর্ড হওয়ারই কথা। বিশ্বজুড়ে তুমুল জনপ্রিয় ‘ডোরি’। তার ফেসবুকে পেজে লাইকের সংখ্যা আড়াই কোটিরও বেশি। ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্স কিংবা পিক্সার অ্যানিমেশন স্টুডিওসের আর কোনো চরিত্রের এতো ভক্ত নেই।  

চলতি বছর মার্ভেলের ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার’-এর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল ছবি এখন ‘ফাইন্ডিং ডোরি’। এটি আছে হলিউড টপচার্টের শীর্ষে। প্রথম ছবি শেষ হওয়ার ছয় মাস পরের ঘটনা দেখানো হয়েছে সিক্যুয়েলে।

এবারও পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন অ্যান্ড্রু স্ট্যানটন। তবে এবার তার সঙ্গে ছিলেন আরেক পরিচালক অ্যাঙ্গাস ম্যাকলেন। অ্যান্ড্রুর সঙ্গে যৌথভাবে চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন ভিক্টোরিয়া স্ট্রাউস ও বব পিটারসন।

নতুন গল্পে ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে বন্ধুসুলভ কিন্তু মনভোলা নীল মাছ ডোরির সঙ্গে তার বন্ধুদের পুনর্মিলন দেখা যায়। ডোরির স্মৃতিশক্তি লোপ পায় ১০ সেকেন্ড পরপর। তবে তার এটুকু মনে আছে- শৈশবে যে কোনো কারণে মা-বাবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে সে। দুই বন্ধু নেমো ও মারলিনের সহায়তায় মা-বাবাকে খুঁজে বের করার দুঃসাহসিক ও রোমাঞ্চকর অভিযানে নামে ডোরি।

একসময় তারা হাজির হয় কাচঘেরা মন্টারি মেরিন লাইফ ইনস্টিটিউটে। এখানে সাগরতলের বিচিত্র সব প্রজাতি সংরক্ষণ করা হয়। ডোরি বুঝে যায়, এই কাচঘেরা জগতেই হয়তো আছে তার মা-বাবা। পরিবারের সঙ্গে তার দেখা হতে পারে যদি সে মা-বাবাকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করতে পারে। এখানে ডোরির গাইড হিসেবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় সাদা বিশালাকার তিমি বেইলি, হাঙ্গর ডেস্টিনি ও অক্টোপাস হ্যাঙ্ক। ডোরি ছাড়াও প্রথম ছবির নেমো, মারলিন, মিস্টার রে, ক্রাশ ও স্কুইয়ার্ট এবারও আছে।

ডোরির চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন এলেন ডিজেনারেস। আগেরটিতে নেমো চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছিলেন আলেক্সান্ডার গুল্ড। এবার নেমো হিসেবে আছেন হেডেন রোলেন্স। এ ছাড়াও কণ্ঠ দিয়েছেন এড ও’নেইল, টাই বারেল, কেইটলিন ওলসন, আলবার্ট ব্রুকস, ডায়েন কিটন, ইউজিন লেভি, মাইকেল শিন। ছবিটি যুক্তরাজ্যে মুক্তি পাবে আগামী ২৯ জুলাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৬
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।