ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

গান ও কবিতায় যুগলবন্দী

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
গান ও কবিতায় যুগলবন্দী গান ও কবিতার যুগলবন্দী পরিবেশনায় মাসুদ আহমেদ ও আকতারী মমতাজ। ছবি- বাংলানিউজ

ঢাকা: আধুনিক বাংলা গানের জগতে বিংশ শতাব্দীর ৪০ থেকে ৬০ এর দশকের গানগুলো ভাষাশৈলী, সুর মূর্ছনা, ছন্দ বৈচিত্র্য, ছন্দ ও লয়ের অপূর্ব কাব্যিক সমন্বয় ও সর্বোপরি পরিবেশনার উৎকর্ষে ধ্রুবতারার মতো জ্বলজ্বল করছে। এজন্য এসময়কে বাংলা গানের স্বর্ণুযুগ হিসেবে মনে করা হয়।

সামগ্রিকতা, পরিপূর্ণতা ও নান্দনিকতার আলোকে সৃষ্টির সময়কাল থেকে এসব মৌলিক বাংলা গান সুর ও বাণীর ঐন্দ্রজালিক আবহ সঞ্চালন করে চলেছে সংগীত-প্রেমীদের অনুভূতিতে। আর এ কাজটি যারা করে যাচ্ছেন শিল্পী মাসুদ আহমেদ তাদের অন্যতম।

এ শিল্পীর সঙ্গেই কথা ও সুরের আমন্ত্রণে গান ও কবিতার যুগলবন্দী হয়ে গেলো শনিবার (১৮ নভেম্বর)।

সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে কথা ও সুরের আমন্ত্রণে গান ও কবিতার যুগলবন্দী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী মাসুদ আহমেদ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা আবৃত্তি করেন কবি ও বাচিকশিল্পী বেগম আকতারী মমতাজ।

অনুষ্ঠানে শিল্পী মাসুদ আহমেদের ৯টি গান নিয়ে আধুনিক গানের অ্যালবাম ‘আকাশের ঐ সীমা ছাড়িয়ে’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
অনুষ্ঠানে শিল্পী মাসুদ আহমেদের ‘আকাশের ঐ সীমা ছাড়িয়ে’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়।  ছবি- বাংলানিউজ
শুভেচ্ছা বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আয়োজনের দু’শিল্পী সরকারি আমলা হওয়ার পরেও তাদের কর্মজীবনের পাশাপাশি শিল্পচর্চা করেন। শিল্পীরা ঈশ্বর ছুঁতে চায়; তারা মানুষের মনকে ছুঁতে চায়। এ দু’জন গুণী শিল্পীও তার ব্যতিক্রম নয়।

বঙ্গবন্ধু কে স্মরণ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুও কবিদের মতো মানুষের মনকে ছুঁতে পেরেছিলেন। তাই তার ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষ এ দেশকে স্বাধীন করেছিল।

শিল্পচর্চার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষার এখন একটি অশ্লীলতার সময় চলছে। অন্যান্য ভাষার সাথে মিশিয়ে এর সৌন্দর্য নষ্ট করা হচ্ছে। এ থেকে ভাষাকে রক্ষা করতে শিল্পচর্চা গুরুত্বপূর্ণ।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, গান আমদের মনে অন্য রকম একটি অনুভূতির সৃষ্টি করে। একজন শিল্পী তার মন থেকে শিল্পচর্চা করেন যা মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করে। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণও বঙ্গবন্ধু দেন তার হৃদয় থেকে, যা সাধারণ মানুষকে স্পর্শ করেছিল। তাই এ ভাষণ আজ ইউনেস্কো দ্বারা শ্রেষ্ঠ ভাষণের স্বীকৃতি পেয়েছে।

শিল্পী মাসুদ আহমেদ ২০১৩ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শিল্পী আকতারী মমতাজ বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অনুষ্ঠানে শিল্পী মাসুদ আহমেদ ‘মধুর আমার মায়ের হাসি’, ‘তোমারে পারিনিগো ভূলিতে’ সহ বিখ্যাত কিছু আধুনিক গান পরিবেশন করেন। আকতারী মমতাজ আবৃতি করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৪০০ সাল, দুঃসময়, আমি, বাঁশিওয়ালা, সোনার তরী ও নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গসহ মোট আটটি কবিতা।

কবিতা আবৃতির পাশাপাশি শিল্পী প্রতিটি কবিতার প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করেন। আর গান ও কবিতার যুগলবন্দীতে বিমোহিত হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত তা উপভোগ করেন উপস্থিত দর্শক-শ্রোতা।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
এইচএমএস/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।