ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

ব্যাংককে আমজাদ হোসেনের চিকিৎসা শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৮
ব্যাংককে আমজাদ হোসেনের চিকিৎসা শুরু আমজাদ হোসেন

ঢাকা: প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে নেওয়া হয়েছে। সেখানে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।

আমজাদ হোসেনের সঙ্গে রয়েছেন তার দুই ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল ও সোহেল আরমান।

বুধবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ব্যাংকক থেকে আমজাদ হোসেনের ছোটে ছেলে নির্মাতা ও অভিনেতা সোহেল আরমান বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয় সময় রাত আড়াইটার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে আমরা ব্যাংকক পৌঁছেছি।

এখানে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাবার চিকিৎসা শুরু হয়েছি। খুব ভালো চিকিৎসা হচ্ছে। সবার কাছে বাবার জন্য দোয়া চাইছি। আমজাদ হোসেনকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সমঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে আমজাদ হোসেনকে ব্যাংকক নেওয়ার জন্য বামরুনগ্রাদের একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার হযরত শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এসে পৌঁছায়। এরপর মধ্যরাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’খ্যাত নির্মাতাকে নিয়ে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে।

গত ১৮ নভেম্বর নিজ বাসভবনে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে আমজাদ হোসেনকে দ্রুত রাজধানীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করা হয় ইমপালস হাসপাতালে। এই হাসপাতালে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

এদিকে রোববার (২৫ নভেম্বর) আমজাদ হোসেনের উন্নত চিকিৎসার খরচ বাবদ ২০ লাখ টাকা এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বাবদ ২২ লাখ টাকা পরিবারকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

৭৬ বছর বয়সী আমজাদ হোসেন একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, গল্পকার, অভিনেতা, গীতিকার ও সাহিত্যিক হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘ বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি ‘ভাত দে’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’র মতো কালজয়ী অনেক সিনেমা নির্মাণ করেছেন।

‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে। এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৮
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।