ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

বিএফডিসিতে সুবীর নন্দীকে শেষ শ্রদ্ধা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, মে ৮, ২০১৯
বিএফডিসিতে সুবীর নন্দীকে শেষ শ্রদ্ধা বিএফডিসিতে সুবীর নন্দীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন চিত্রনায়ক আলমগীর। ছবি: রাজীন চৌধুরী/বাংলানিউজ

শেষবারের মতো কফিনে শুয়ে বিএফডিসিতে (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন) এলেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী সুবীর নন্দী। শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বুধবার (০৮ মে) দুপুর পৌনে ১টার দিকে নন্দিত এ গায়কের মরদেহ নেওয়া হয় চলচ্চিত্রের প্রাণকেন্দ্রে।

প্রিয় শিল্পীকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে বিএফডিসি প্রাঙ্গণে হাজির হন চিত্রনায়ক আলমগীর, ওমর সানী, অভিনেতা ড্যানি সিডাক, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, নির্মাতা এস এ হক অলিকসহ অনেকে।

চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে একুশে পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় এই সঙ্গীতশিল্পীর মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বিএফডিসিতে সুবীর নন্দীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তারকারা।  ছবি: রাজীন চৌধুরী/বাংলানিউজসুবীর নন্দীকে স্মরণ করে মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, সুবীর নন্দী অসংখ্য কালজয়ী চলচ্চিত্র গানের গায়ক। তার গান আমাদের চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করেছে। গুণী এ শিল্পীকে হারানোর ক্ষতি কখনই পূরণ হবে না।

বিএফডিসির আগে বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সুবীর নন্দীর মরদেহ নেওয়া হয়। সেখানে বরেণ্য এ শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিকেলে দাহ করার জন্য সবুজবাগের বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশানে নেওয়া হবে তার মরদেহ।

মঙ্গলবার (০৭ মে) ভোর সাড়ে ৪টা ২৬ মিনিটে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী। বুধবার সকাল ৬টার দিকে সিঙ্গাপুর থেকে তার মরদেহ দেশে আনা হয়।

গত ১৪ এপ্রিল সিলেট থেকে ঢাকা আসার পথে সুবীর নন্দী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৮ দিন সিএমএইচে থাকার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৩০ এপ্রিল সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয় তাকে। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে নন্দিত এই শিল্পীর বেশ কয়েকটি অঙ্গ বিকল হয়ে পড়েছিল।

সিঙ্গাপুরে নেওয়ার পর একাধিকবার হার্ট অ্যাটাক হয় সুবীর নন্দীর। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষ পর্যন্ত হারই মানতে হলো বাংলা গানের এ কিংবদন্তিকে।

প্রায় পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে সুবীর নন্দী গান গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি। ‘মহানায়ক’ (১৯৮৪), ‘শুভদা’ (১৯৮৬), ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ (১৯৯৯), ‘মেঘের পরে মেঘ’ (২০০৪) ও ‘মহুয়া সুন্দরী’ (২০১৫) চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে মোট পাঁচবার শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে তিনি। এছাড়া চলতি বছর তিনি একুশে পদক পান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৯
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।