শনিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে কথা আহত অভির পরিবারের সাথে। অভিরা দুই বোন ও এক ভাই, সে সবার ছোট।
আহত অভির মা-র উপস্থিতিতে দুই বোন তাসনুভা আক্তার ও উম্মে কুলসুম জানান, তার ভাই এসএসসি পাশ করার পরে আর পড়ালেখা করেনি। ছোটকাল থেকেই অভির সংগীতের প্রতি আগ্রহ ছিল। তাই এসএসসি পরীক্ষার পরে সংগীত নিয়ে চর্চা করতে থাকে।
একপর্যায়ে এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গার অনুষ্ঠানে সে গান গেয়ে সবার প্রশংসা পায়।
দুই বোন আরও জানান, ১৩ জুন সকাল ৭টার দিকে বাসায় নাস্তা করার সময় অভির ফোনে একটি কল আসে। সেই কলে কথা বলে, অভি দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পরে সংবাদ পেয়ে আমরা ওই এলাকার মুকিম বাজার কবরস্থানের ভেতর থেকে অভিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করি। দ্রুত সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (মিটফোটে)। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। সেদিন থেকেই সে জরুরি বিভাগ আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) আলাউদ্দিন জানান, ঘটনার দিন থেকেই অভি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আইসিইউতে আছেন। তার মাথায় আঘাত আছে, তাই বর্তমানে সে নিউরোসার্জারি বিভাগের তত্ত্বাবধানে আছে। তার সর্বশেষ স্বাস্থ্যর অবস্থা সম্পর্কে আগামীকাল সকালে আপনাদের জানানো হবে।
বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান জানান, ওই দিন সন্ধ্যায় অভির পরিবার থানায় একটি মামলা করলে। সেই মামলা নিয়ে পুলিশ কাজ করছে, বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৫ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
এজেডএস/এসআইএস