রোববার (১৬ জুন) বিশ্ব বাবা দিবস। বিশেষ এই দিনে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপে বাবা-মাকে নিয়ে কথাগুলো বললেন অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন।
তার বাবা নুরুর রহমান ছিলেন একজন সরকারি চাকরিজীবী। ২০০৬ সালের ৪ মার্চ পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি। তেরো বছর আগে বাবাকে হারালেও এখনও তার স্মৃতি মিলনকে পীড়া দেয়।
‘যখন বাবা থাকেন তখন আসলে আমরা বাবা কী, সেটা অনুভব করতে পারি না। কিন্তু যখন তিনি চলে যান তখন তা ধীরে ধীরে অনুভব করা যায়। কিন্তু তার স্মৃতি খুব কষ্ট দেয়। ভেতরটা পোড়ায়। বাবা থাকলে সন্তান যত দায়িত্বহীন হোক না কেন, তাতে সমস্যা হয় না। কিন্তু তিনি চলে গেলে সব দায়িত্ব মাথার উপর চলে আসে। বাবাকে খুব মিস করি’, বললেন মিলন।
আনিসুর রহমান মিলন নিজেও বাবা। তার একমাত্র ছেলে মিহরান রহমানের বয়স ৬ বছর। পড়াশোনা করে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে কাজের সুবাদে মিলককে থাকতে হয় বাংলাদেশে। তবে এবার বাবা দিবসে সন্তানের কাছেই আছেন তিনি।
মিলনের ভাষ্যে, ‘বাংলাদেশে থাকলেও মনটা সবসময় পরিবারের কাছে পড়ে থাকে। তাই সময়-সুযোগ হলেই কয়েক মাস পর পর ওদের দেখতে ছুটে আসি। এবার বাবা দিবসে মিহরানকে সময় দিতে পারছি সে জন্য অনেক ভালো লাগছে। ’
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সন্তানদের চাহিদা ও বেড়ে ওঠার পরিবেশের অনেক পরিবর্তন এসেছে। পাশাপাশি তারা বাবা-মার অবস্থানও বোঝে বলে মনে করেন ‘পোড়ামন’খ্যাত এই অভিনেতা।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ছোট ছিলাম তখনকার ছেলে-মেয়েদের বেড়ে ওঠা ও এখনকার ছেলে-মেয়েদের বেড়ে ওঠার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এখন তারা ছোট থাকতেই আধুনিকতার ছোঁয়া পাচ্ছে। আগে বাবার সামর্থ্য আছে কী-না, সেটা না বুঝেই সন্তানরা নানা বিষয় আবদার করে বসত। কিন্তু এখনকার সন্তানেরা ছোট থাকতেই বাবার দায়িত্বটা বোঝে। বাবা কতটুকু পারবে না পারবে, সেটা অনেকটা আচ করতে পারে তারা। সেজন্য অবশ্য বাবাদেরও সন্তানের কাছে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় এবং উত্তর দিতে হয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
জেআইএম