ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

মহানায়িকার স্মৃতিঘেরা সংগ্রহশালা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
মহানায়িকার স্মৃতিঘেরা সংগ্রহশালা

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক কিংবদন্তি অভিনেত্রীর নাম সুচিত্রা সেন। তার প্রকৃত নাম ছিল রমা দাশগুপ্ত। ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল বাংলাদেশে পাবনায় তার জন্ম। বর্তমানে পাবনার হিমসাগরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মহানায়িকা সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা। সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে এই সংগ্রহশালা দারুণ দর্শনীয় একটি জায়গা। 

পাবনা শহরের গোপালপুরের হিমসাগরেই শৈশব কাটিয়েছেন সুচিত্রা সেন। তার বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

মা-বাবার পঞ্চম সন্তান ছিলেন সুচিত্রা। তার আরেকটি পরিচয় হলো, তিনি কবি রজনীকান্ত সেনের নাতনী ছিলেন।  

যারা পাবনায় আসেন, তারা একটুখানি সময় করেই ঘুরে আসতে পারেন মহানায়িকা স্মৃতিবিজড়িত তার পারিবারিক বাড়িটি।

পাবনায় মহানায়িকা সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা

এই সংগ্রহশালায় সুচিত্রা সেনের জীবন ও কর্মকে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রয়েছে তার দুর্লভ অনেক ছবি ও তাকে ঘিরে লেখা বই ও স্মারক।   

সুচিত্রা সেনের আবক্ষ মূর্তি।  ছবি: বাংলানিউজ

১৯৪৭ সালে কলকাতার বিশিষ্ট শিল্পপতি আদিনাথ সেনের ছেলে দিবানাথ সেনের সঙ্গে বিয়ে হয় সুচিত্রার। তাদের একমাত্র সন্তান মুনমুন সেন এবং দুই নাতনী রিয়া সেন ও রাইমা সেনও অভিনেত্রী।

১৯৫২ সালে চলচ্চিত্র অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন সুচিত্রা সেন। ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ সিনেমার মধ্য দিয়ে মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সম্ভবত সর্বকালের সবচেয়ে সেরা জুটি ছিল উত্তম-সুচিত্রা।  

সুচিত্রা সেনের পারিবারিক রান্নাঘর ছিল এটি।  ছবি: বাংলানিউজ

১৯৭২ সালে ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ লাভ করেন সুচিত্রা সেন। ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘বাংলাবিভূষণ’ সম্মাননা দেওয়া হয় তাকে। ২০০৫ সালে সুচিত্রা সেনকে ভারতের চলচ্চিত্র অঙ্গনের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব করা হলে সুচিত্রা সেন দিল্লিতে গিয়ে ওই সম্মান গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ৮২ বছর বয়সে সুচিত্রা সেন মারা যান।

বাংলাদেশে এই মহানায়িকার জন্মভিটা দীর্ঘকাল অবহেলিত ও বেদখল হয়ে ছিল। ২০১৭ সালে প্রশাসনের উদ্যোগে সুচিত্রা সেনের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি উদ্ধার করা হয়। এখানে প্রতিষ্ঠিত হয় সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা।  

মহানায়িকা সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালার সামনে দাঁড়িয়ে এর তত্ত্বাবধায়ক রুবেল।  ছবি: বাংলানিউজ

বর্তমানে এই সংগ্রহশালার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রুবেল। বাংলানিউজকে রুবেল বলেন, দখলমুক্ত হওয়ার পর ২০১৭ সালে মহানায়িকার বাড়িতে তার স্মৃতি সংগ্রহশালা স্থাপন করে পাবনা জেলা প্রশাসন। সরকার এখানে একটি চলচ্চিত্র আর্কাইভ এবং একটি লাইব্রেরি করার পরিকল্পনা করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
জেআইএম/এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।