ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বাংলাদেশে আমার ভক্ত বেশি: সব্যসাচী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০
পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বাংলাদেশে আমার ভক্ত বেশি: সব্যসাচী

পশ্চিমবঙ্গের বর্ষীয়ান অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্টি কাল্পনিক গোয়েন্দা প্রদোষ মিত্র বা ফেলুদা চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) ফাখরুল আরেফীন খান পরিচালিত ‘গণ্ডি’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে হাজির হচ্ছেন তিনি।

‘গণ্ডি’র মুক্তি উপলক্ষে ঢাকায় এসেছেন এই কিংবদন্তি। উপস্থিত ছিলেন সিনেমাটির প্রিমিয়ারে।

অংশ নিয়েছেন প্রচারণায়। সে ফাঁকেই বাংলানিউজের মুখোমুখি হয়েছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। তার সঙ্গে আলাপের চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো- 

বাংলানিউজ: ‘গণ্ডি’তে কীভাবে যুক্ত হলেন? 
সব্যসাচী চক্রবর্তী:
একটি প্রকাশিত গল্প থেকে ফাখরুল আরেফীন খান ‘গণ্ডি’ নির্মাণ করেছেন। তিনি গল্পটা যখন আমাকে শোনালেন এবং বললেন এখানে আমাকে কাস্ট করতে চান। আমি বললাম, আমাকেই কেনো? তখন তিনি বলেন, চরিত্রটায় আমাকেই ভেবেছেন তিনি। এ চরিত্র আমার জন্যই। তারপর গল্পটা পড়ে আমার মুগ্ধতা তৈরি হয়। চিত্রনাট্যও দারুণ। এছাড়া সুবর্ণা মুস্তাফা তো আছেনই। সচরাচর এমন বয়স্ক মানুষকে কেন্দ্র করে কেউ তো সিনেমা বানায় না, তাই আমার মনে হলো- এটা একটা ভালো সিনেমা হবে। এরপরই কাজ করা।  
সব্যসাচী চক্রবর্তী।  ছবি: রাজীন চৌধুরী/বাংলানিউজ

বাংলানিউজ: ‘গণ্ডি’তে সহশিল্পী হিসেবে সুবর্ণা মুস্তাফার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? 
সব্যসাচী চক্রবর্তী:
খুব ভালো। তিনি অনেক অভিজ্ঞ একজন অভিনেত্রী। বহু বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। শৈশব থেকেই তিনি সিনেমার সঙ্গে যুক্ত। কাজেই তার অভিজ্ঞতা বিশাল। এটা অবশ্য তার অভিনয়ের ধরনেই বোঝা যায়। কত কঠিন বিষয়গুলো তিনি সহজেই করে ফেলেন। তার সঙ্গে কাজ করে বেশ ভালো লেগেছে।

বাংলানিউজ: এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসা যাক, ‘ডাবল ফেলুদা’র আগে বলেছিলেন আর ফেলুদা করবেন না... কিন্তু আবার ফেরা হয়েছিল কেনো?
সব্যসাচী চক্রবর্তী:
সন্দীপ রায় আবার করতে বললেন বলেই করা হয়েছে। কারণ তিনি বলছিলেন আবিরকে দিয়ে হবে না। কারণ ‘বোমক্যাশ’ আর ‘ফেলুদা’ একজনকে দিয়ে একসঙ্গে তো আর হয় না।  

বাংলানিউজ: ফেলুদা নিয়ে আপনার কাছে শ্রেষ্ঠ সিনেমা কোনটি? 
সব্যসাচী চক্রবর্তী:
নির্মাণশৈলী ও সিনেমা হিসেবে আমার কাছে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে ‘সোনারকেল্লা’।  

বাংলানিউজ: ‘ফেলুদা’ চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে আপনি কতটা সার্থক মনে করেন?
সব্যসাচী চক্রবর্তী:
আমি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ফেলুদা দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি এবং সন্দীপ রায় যেভাবে চেয়েছেন তার অনেকটাই কাছাকাছি যেতে পেরেছি। তবে আমার মনে হয়, আমার চেয়ে ফেলুদা ভালো করে করার মতোও লোক আছেন।

বাংলানিউজ: দর্শকের দৃষ্টি থেকে নিজেকে অভিনেতা রূপে কীভাবে মূল্যায়ন করেন? 
সব্যসাচী চক্রবর্তী:
দর্শক হিসেবে আমি নিজেকে দেখিই না। আমি তো অভিনেতা, আমার কাজ অভিনয় করা,  সে জায়গা থেকে দর্শক হওয়া সম্ভব না। তবে আমি নিজেকে একজন নিম্নমানের অভিনেতা হিসেবে মূল্যায়ন করি।

বাংলানিউজ: আপনি এত বড় গুণী ও জনপ্রিয় একজন অভিনেতা হয়েও নিজেকে নিম্নমানের অভিনেতা বলছেন...
সব্যসাচী চক্রবর্তী:
এত বড় কই? আমি তো মাত্র ছয় ফিট দেড় ইঞ্চির মানুষ! আর আমি জনপ্রিয় কী করে বুঝবো? জনপ্রিয়তা মাপার কোনো মিটার আছে? ওভাবে জনপ্রিয়তা মাপা যায় না। আপনারা বলেন, আমি জনপ্রিয়,  লোকে আমাকে ভীষণ পছন্দ করে; আমি আপনাদের কথা বিশ্বাস করি। তবে আমার মনে হয়, পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বাংলাদেশে আমার ভক্ত বেশি।  
সব্যসাচী চক্রবর্তী।  ছবি: রাজীন চৌধুরী/বাংলানিউজ

বাংলানিউজ: বাংলাদেশে কাজ করে কেমন লেগেছে? 
সব্যসাচী চক্রবর্তী:
এখনকার মানুষ পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মতোই ভীষণ ভালো। তাদের সঙ্গে কাজ করে আমি মুগ্ধ। খুব অমায়িক এবং খুব ভদ্রভাবে কথা বলেন।

বাংলানিউজ: আপানকে আবার বাংলাদেশের সিনেমায় পাওয়া যাবে? 
সব্যসাচী চক্রবর্তী:
এটা এখন বলতে পারছি না।

বাংলানিউজ: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সব্যসাচী চক্রবর্তী:
আপনাকে এবং বাংলানিউজের পাঠকদেরও ধন্যবাদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।