ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

চলে গেলেন জাপানের শান্তিকামী নির্মাতা নোবুহিকো ওবায়াশি

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২০
চলে গেলেন জাপানের শান্তিকামী নির্মাতা নোবুহিকো ওবায়াশি

জাপানের বিখ্যাত ‘যুদ্ধবিরোধী’ ও ‘শান্তিকামী’ চিত্রনির্মাতা নোবুহিকো ওবায়াশি মারা গেছেন। চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে যুদ্ধের ভয়াবহতা তুলে ধরে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রের শক্তি কতটা প্রভাবশালী হতে পারে তা তিনি বুঝিয়ে গেছেন নিজের কর্মের মধ্য দিয়ে। 

ওবায়াশির সর্বশেষ সিনেমা ‘ল্যাবিরিন্থ অব সিনেমা’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জানানো হয়, এই প্রখ্যাত পরিচালক ৮২ বছর বয়সে গত শুক্রবার মারা গেছেন।

২০১৬ সালে ওবায়াশির ক্যান্সার ধরা পড়ে।

ধরা পড়ার আগেই অনেক দেরি হয়ে যায়। ক্যান্সারের সংক্রমণ শেষ পর্যায়ে ছিল। বলা হয়েছিল, আর মাত্র কয়েকমাস বাঁচবেন তিনি। তবে ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করেও তিনি বেঁচে ছিলেন আরও চার বছর। সে অবস্থাতেই তিনি হুইলচেয়ার ব্যবহার করে কাজ চালিয়ে গেছেন।

ব্যতিক্রমী একটি ঘটনা জড়িয়ে আছে তার সর্বশেষ সিনেমাটি ঘিরে। আর তা হলো, তিনি সিনেমাটি মুক্তি দিতে চেয়েছেন সেদিনই, যেদিন তার মৃত্যু হবে। সে হিসেবে শুক্রবারেই ‘ল্যাবিরিন্থ অব সিনেমা’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে সব প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ থাকায় আপাতত মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না।  

গত বছর টোকিও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ল্যাবিরিন্থ অব সিনেমা’ প্রদর্শিত হয়েছিল। তখনই ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে সিনেমাটি। ওই উৎসবে তার অনেকগুলো সিনেমা দেখানো হয়। আর তাকে সম্মানিত করা হয় ‘সিনেমাটিক ম্যাজিসিয়ান’ খেতাবে।  

১৯৩৮ সালে ছিল তার জন্ম। জন্মের পরপরই তিনি দেখেছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা। প্রতিবেশী দেশের ওপর জাপানের আগ্রাসন দেখেছেন। এরপর জাপানের মানুষের অনাহার, অবমাননা ও গণহারে মৃত্যুও দেখেছেন। তার শান্তিকামী চিন্তা-চেতনা পেয়েছিলেন তার বাবার কাছ থেকে, যিনি একজন আর্মি ডাক্তার ছিলেন। তাকে প্রথম একটি ৮ মিলিমিটার ক্যামেরাও দিয়েছিলেন তিনি। তিনিই আজ যুদ্ধবিরোধী ও শান্তিকামী চলচ্চিত্র নির্মাণের পুরোধা ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন।  

নোবুহিকো ওবায়াশির বিখ্যাত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘হাউজ’ (১৯৭৭), ‘আই আর ইউ, ইউ অ্যাম মি’ (১৯৮২), ‘দ্য গার্ল হু লিপ্ট থ্রু টাইম’ (১৯৮৩), ‘লোনলি হার্ট’ (১৯৮৫), ‘দ্য ড্রিফ্টিং ক্লাসরুম’ (১৯৮৭), ‘সামুরাই কিডস’ (১৯৯৩), ‘কাস্টিং ব্লোসোমস টু দ্য স্কাই’ (২০১২), ‘সেভেন উইকস’ (২০১৪), ‘হানাগামাতি’ (২০১৭), ‘ল্যাবিরিন্থ অব সিনেমা’ (২০১৯) ইত্যাদি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২০
এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।