ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

প্রকাশ্যে রথীন্দ্রনাথের ‘আগুনের জুতো পায়ে হাঁটছি’ 

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
প্রকাশ্যে রথীন্দ্রনাথের ‘আগুনের জুতো পায়ে হাঁটছি’ 

চলতি বছরের শুরুর দিকে এক যুগেরও বেশি সময়ের বিরতি ভেঙে অডিও মাধ্যমের জন্য একটি গানে কণ্ঠ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা ও লোকগানের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়।

গানের শিরোনাম ‘আগুনের জুতো পায়ে হাঁটছি’। সংগীতশিল্পী আমিরুল মোমিনীন মানিকের কথায় গানটির সুরারোপ করেছেন হাবিব মোস্তফা।

সংগীতায়োজনে অণু মোস্তাফিজ।

এ গান প্রসঙ্গে রথীন্দ্রনাথ রায় বাংলানিউজকে বলেন, ‘অডিওতে সবশেষ কবে গান করেছি মনে নেই। সম্ভবত ২০০৫ সালে একটি অ্যালবামে গেয়েছিলাম। কিন্তু এই মুহুর্তে ঠিকঠাক মনে করতে পারছি না। তবে এবার যে গানটি করেছি, তা বেশ ভালে হয়েছে। ’ 

সংগীতায়োজক অণু মোস্তাফিজ বলেন, ‘কাজটি বেশ ভালো হয়েছে। আর ব্যক্তিগতভাবে আমি অভিভূত- দাদার মতো একজন গুণীশিল্পীর গানের সংগীতায়োজন করতে পেরে। কাজটি আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। ভালো কাজের ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো। ’

বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) স্টুডিও ভার্সন ভিডিওতে সংগীতশিল্পী আমিরুল মোমিনীন মানিকের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পায় ‘আগুনের জুতো পায় হাঁটছি’।

সিনেমার মাধ্যমে অনেক কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন রথীন্দ্রনাথ রায়। এর মধ্যে ‘অন্ধ বধূ’ সিনেমায় ‘ও যার অন্তরে বাহিরে কোনো তফাত নাই’, ‘নাগরদোলা’ সিনেমায় ‘তুমি আরেকবার আসিয়া যাও মোরে কান্দাইয়া’। এছাড়া ‘ফকির মজনু শাহ’ সিনেমায় ‘সবাই বলে বয়স বাড়ে’ এবং ‘নালিশ’ সিনেমায় ‘খোদার ঘরে নালিশ করতে দিলো না আমারে’ প্রভৃতি গানগুলো এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

সংগীতে অবদানের জন্য ১৯৯৫ সালে একুশে পদক- এ ভূষিত হন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রবীন্দ্রনাথ রায়। এছাড়া দেশ-বিদেশের আরও অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন গুণী এই শিল্পী।

ভিডিও:

 

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।