ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

গত ১০ বছরে বরিশাল থেকে কোন নৃত্যশিল্পী বিদেশ যায়নি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
গত ১০ বছরে বরিশাল থেকে কোন নৃত্যশিল্পী বিদেশ যায়নি

বরিশাল: বরিশাল থেকে সরাসরি গত ১০ বছরে কোন নৃত্যশিল্পী ব্যক্তিগতভাবে দেশের বাহিরে যায়নি, আর যেসব শিল্পী গ্রুপের সঙ্গে গেছেন, তারা ফিরেও এসেছেন। এর বাহিরে শিল্পকলাসহ সরকারি বিভিন্নমাধ্যমে যারা বিদেশে গিয়েছেন, তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নিয়মকানুন অনেকটাই কঠোর।

ফলে ওইসব ভ্রমণে বিদেশে থেকে যাওয়া সম্ভব নয় বলেও দাবি করেছেন বরিশাল নৃত্যশিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও নিত্তোঙ্গন নৃত্যকলা একাডেমির পরিচালক মুরাদজ্জামান খান।

নারী পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী ইভান শাহরিয়ার সোহাগের সঙ্গে জড়িয়ে মুরাদজ্জামান খানসহ বরিশালের নৃত্যশিল্পীদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সে সময় তিনি বলেন, খেলাঘর থেকেই আমার নাচ করা শুরু। বরিশালের ছেলে নৃত্যশিল্পী ইভান শাহরিয়ার সোহাগ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত। আমিসহ বরিশালের বহু নৃত্যশিল্পী ছোটবেলা থেকে ইভানের সঙ্গে নাচ করেছি।  এরপর সে ঢাকায় যাওয়ার পর তার মতো করে ধাপে ধাপে একটি অবস্থানে চলে গেছে। তারপর একজন বন্ধু হিসেবে সোহাগের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। আর তাও একজন বন্ধু হিসেবে যে সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন সেটা ছিল, তবে ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে নয়।

তিনি বলেন, সোহাগের বর্তমান ঘটনাটি আমরা শুধু সংবাদমাধ্যমেই জানতে পেরেছি, এর বাহিরে আমি ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়ে কিছু জানি না। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে বরিশালের একটি অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। যা সত্য নয় এবং ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক। সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়া আমার নাম জড়ানো হচ্ছে। প্রয়োজনে সকলেই তদন্তপূর্বক দেখতে পারেন। আর আমি যদি গোয়েন্দা নজরদারীতে থাকি তাহলে বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত থাকবো। কিন্তু তাও আমাকে করা হয়নি।  

মুরাদজ্জামান খান বলেন, ছোটবেলা থেকে অনেক পরিশ্রম করে একজন শিল্পী একটা পর্যায়ে আসে। একজন শিল্পী একদিনে শিল্পী হতে পারে না। তাকে তিলে তিলে ঘাম জড়িয়ে একটা পর্যায়ে খুব কষ্ট করে আসতে হয়।  

তিনি বলেন, একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে আমি এ কাজটিকে অনেক ভালোবাসি। আমার স্ত্রী সন্তান রয়েছে। নৃত্য সাধারণত মেয়েরা বেশি করে থাকে, আর আমার কাছে শিখতে আসা সকল মেয়েকে সন্তানের চোখে দেখি। আর যদি বদনাম থাকতো আমাদের তাহলে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের আমাদের কাছে দিতো না নাচ শেখাতে।

নিত্তোঙ্গন নৃত্যকলা একাডেমির পরিচালক বলেন, ২০০৬ সালে থেকে আমি নিত্তোঙ্গন নৃত্যকলা একাডেমির পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এমনকি দীর্ঘদিন ধরে সম্মানের সঙ্গে বরিশাল রাষ্ট্রীয় অনেক অনুষ্ঠান করে আসছি। আর আমার কার্যক্রমের অনুকূলে আমি নিজেই এ পর্যন্ত ১২টি জাতীয় পুরষ্কার অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এখনও আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর জাতীয় পুরষ্কার পেয়ে আসছে। এ পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থী জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছে এবং প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী দেশে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
এমএস/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।