বলিউডের কোরিওগ্রাফার থেকে পরিচালক হয়ে ওঠা রেমো ডি’সুজা গুরুতর হৃদরোগ থেকে সেরে উঠছেন। এবার তার জীবন বদলে দেওয়া ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন, যে ঘটনার নায়ক বলিউডের ‘ভাইজান’ সালমান খান।
ঘটনার দিনকে স্মরণ করে রেমো ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বোম্বে টাইমস-কে বলেন, সবাই চমকে গিয়েছিল। সত্যি বলতে কি - আমিও। সেদিন সবকিছু ঠিকই চলছিল। সকালের নাশতা করে জিমে গেলাম। লিজেল (তার স্ত্রী) ও আমি একই প্রশিক্ষকের অধীনে ব্যায়াম করি। লিজেলের ব্যায়াম শেষে আমি যখন উঠলাম তখনেই বুকের মাঝখানে ব্যথা অনুভব করি। যেহেতু আমার বাম হাতে কোনও ব্যথা ছিল না, ভাবলাম এসিডিটির কারণে এটা হচ্ছিল। তাই পানি পান করলাম। কিন্তু তখনও ব্যথা হচ্ছিল। সেদিনের মতো ব্যায়াম করা বাদ দিলাম। লিজেলের সঙ্গে লিফটে উঠলাম। লিফটের বোতাম চাপার পরই আমি বসে পড়ি। লিফট থেকে বেরিয়েই কাশতে শুরু করি। তখন লিজেল আমার স্মার্টওয়াচ খেয়াল করে। এটি আমার হার্টবিট ও ইসিজি চেক করে থাকে। ওখানে বার্তা দেখাচ্ছিল, ‘আপনি কি সুস্থ নন?’ এরপর রেমোকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ডাক্তার জানায়, তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।
সালমান খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রেমো ডি’সুজা। তিনি জানান, হাসপাতালে তিনি যেন সেরা চিকিৎসা সেবাটা পান তা নিশ্চিত করেছিলেন সালমান খান। শুধু তাই নয়, নিয়মিত ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে খোঁজখবর নিয়েছেন ‘ভাইজান’।
রেমোর ভাষায়, আমরা তাকে একজন দেবদূত বলি। তার হৃদয় যেন স্বর্ণের। আমি তার সঙ্গে কাজ করেছি এবং আমি জানি তিনি কত বড় রত্ন। আমি ও সালমান অনেক কথা বলি না, যেমন, আমি শুধু বলি ‘ইয়েস স্যার, ওকে স্যার’। আসলে আমার স্ত্রী এবং সালমান খুব ঘনিষ্ঠ। যখনই আমি হাসপাতালে ছুটছিলাম, তখন লিজেল সালমানকে ফোন করে। আমি যে ছয়দিন হাসপাতালে ছিলাম, তিনি খোঁজ রেখেছেন। আমার ভালো যত্ন নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে। সালমান নিজেই ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
বিপদের দিনে সালমান খান এমনভাবে পাশে থাকায় পরম কৃতজ্ঞ রেমো ডি’সুজা। সুস্থ হওয়ার পরপরই তার পরবর্তী সিনেমার কাজ শুরু করবেন কোরিওগ্রাফার-নির্মাতা রেমো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০
এমকেআর