ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

নায়ক ফারুকের মৃত্যুর গুজবে ছেলের ক্ষোভ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২১
নায়ক ফারুকের মৃত্যুর গুজবে ছেলের ক্ষোভ আকবর হোসেন পাঠান ফারুক

হুট করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্ষীয়ান অভিনেতা ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। তবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফারুক জীবিত আছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৮ এপ্রিল) এসব তথ্য জানিয়ে বাবার মৃত্যুর গুজবে বাংলানিউজের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছেলে রোশন হোসেন পাঠান শরৎ।

তিনি বলেন, ‘হুট করেই বাবার মৃত্যুর খবর জানতে চেয়ে একের পর এক সাংবাদিক ও আত্মীয়দের ফোন আসছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই বিরক্ত। এক দিকে বাবা অসুস্থ, অন্যদিক এসব গুজব ছড়াচ্ছে- আমাদের মানসিক অবস্থা কেউ বুঝতে পারছেন না। সবাইকে অনুরোধ করবো এসব গুজব না ছাড়ানোর জন্য। আর বাবার সুস্থতার জন্য দোয়া করুন। ’

তিনি আরও জানান, ফারুকের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালোর দিকে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।

প্রায় এক মাস ধরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ফারুক। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে টানা দুই সপ্তাহ ধরে আইসিইউতে জ্ঞানহীন ছিলেন এই তারকা। তবে তিনি এখন হাত পা নাড়ছেন।

আরও পডুন>> ১৪ দিন ধরে জ্ঞান নেই ফারুকের, রয়েছেন আইসিইউতে

গত ৪ মার্চ সিঙ্গাপুরে যান ফারুক। চেকআপের পর তখন তার ইনফেকশন ধরা পড়লে হাসপাতালে ভর্তি হন এই অভিনেতা। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন ফারুক।  

প্রায় পাঁচ দশক ধরে বড় পর্দা মাতিয়েছেন ফারুক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’তে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে ফারুকের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন মিষ্টি মেয়ে কবরী। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার আলোর মিছিল এ দুটি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

১৯৭৫ সালে তার অভিনীত 'সুজন সখী' ও 'লাঠিয়াল' সিনেমা দুটি ব্যাপক ব্যবসা সফল হয়। ওই বছর 'লাঠিয়াল'র জন্য তিনি সেরা-পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৭৬ সালে 'সূর্যগ্রহণ' ও 'নয়নমণি', ১৯৭৮ সালে শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত আব্দুল্লাহ আল মামুনের 'সারেং বৌ', আমজাদ হোসেনের 'গোলাপী এখন ট্রেনে'সহ বেশকিছু সিনেমায় 'মিয়া ভাই'খ্যাত চিত্রনায়ক ফারুকের অভিনয় প্রশংসিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২১
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।