হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় পরিবেশ আইন অমান্য করে ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি (টপ সয়েল) কেটে বিক্রি করছে একাধিক চক্র। এতে জমির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়েছে।
পরিবেশ আইন অনুযায়ী কৃষিজমির মাটি কাটা অপরাধ। তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আউশকান্দি ইউনিয়নের সৈয়দপুর, পারকুল, কুর্শি ইউনিয়নের বাজকাশারা, হৈবতপুর, সুলতানপুর, রতনপুর, কুর্শি, দেবপাড়া ইউনিয়নের রুস্তমপুর, বাশডর, বাউসা, রিফাতপুর, গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল ও পানিউমদা ইউনিয়নের খাগাউড়াসহ অর্ধশতাধিক স্থানে ফসলি জমি থেকে এক্সকাভেটর (ভেকুযন্ত্র) দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। এসব মাটি নেওয়া হচ্ছে ইটের ভাটায়। এছাড়া বাউসা ইউনিয়নের বাউসা বাজার, ভরপুর ও ইউপির বিপরীত পাশের জায়গায় ভরাট করা হয়েছে ফসলি জমির মাটি এনে।
আশরাফুল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়ে আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার হয় না।
স্থানীয়রা জানান, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট টিলা ও পাহাড় কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কৃষিজমির টপ সয়েল বা উপরিভাগের মাটি কেটে শ্রেণি পরিবর্তন করা নিষিদ্ধ। অথচ নবীগঞ্জের উল্লেখিত স্থানগুলোতে প্রকাশ্যে এ দুই আইন অমান্য করা হলেও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মাকসুদুল আলম বলেন, কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে নেওয়ার ফলে ফলন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হয়। এভাবে মাটি কাটা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে জমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান শাহরীয়ার বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
এসআই