ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

অ্যান্টার্টিকায় পেঙ্গুইনদের মেলা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৩
অ্যান্টার্টিকায় পেঙ্গুইনদের মেলা

উড়তে না জানলেও আদিকাল থেকেই পাখির খেতাব পেয়ে আসছে হিমজগতের পেঙ্গুইন। পেঙ্গুইনের দেহের উপরিভাগটা কালো বা ধূসর এবং নিচের দিকটা ফুটফুটে সাদা।

দাঁড়িয়ে থাকা একটি পেঙ্গুইনকে হঠাৎ কোটপরা কোনও ভদ্রলোকের মত দেখায়।

পাঁচ কোটি বছর আগের আবির্ভাব হওয়া আদি পাখি পেঙ্গুইনের সংখ্যাগরিষ্ঠের বসবাস বরফ আচ্ছাদিত অ্যান্টার্কটিকাতে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা বেশকিছু স্পাই ক্যামেরা লাগিয়েছেন অ্যান্টার্কটিকায় পেঙ্গুইনের ছবি তোলার জন্য আর মাত্র দুজন বিজ্ঞানী অনুমতি পেয়েছেন পেঙ্গুইনদের কাছাকাছি যাবার।

পেঙ্গুইনের সকল প্রজাতির চেয়ে আকারে বড় যে পেঙ্গুইন তারা এম্পেরর পেঙ্গুইন(Aptenodytes forsteri) নামে পরিচিত। এদের গড় উচ্চতা ৪৫ ইঞ্চি বা ১১৫ সে.মি.। ওজনে এরা ৪৫.৪ কেজি।

দক্ষিণ মেরুর তীব্র শীতল পানি অথবা ঠান্ডা বাতাস থেকে নিজেদের রক্ষার করার জন্য এদের দেহে ছোট ছোট উজ্জ্বল পালকের মত তাপরোধক এবং তাপ পরিবাহী আবরণ থাকে।

তাছাড়াও এদের গায়ের চামড়ার নিচে দুই ইঞ্চির মতো পুরু চর্বির স্তর থাকে। মজার ব্যাপার হল, পাখি হলেও এরা এদের ডানা পাখির মতো ভাঁজ করতে পারে না।

বিবর্তনের ধারায় মূলত সামনের পা রূপান্তরিত হয়ে সামনের শক্ত পাখায় পরিণত হয়েছে। যেটি সাঁতারের কাটার সময় পেঙ্গুইঙ্কে শক্তির যোগান দেয়। সাঁতার কাটায় পেঙ্গুইনরা বেশ পটু। এরা সাধারনত ১৫-২০ বছর বেঁচে থাকে। প্রতি ঘন্টায় এরা প্রায় ৩০ মাইল পর্যন্ত যেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৩
আবুল কালাম আজাদ, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।