ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

সাফারি পার্কের নতুন অতিথি ৭ ময়ূর ছানা

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৯
সাফারি পার্কের নতুন অতিথি ৭ ময়ূর ছানা মায়ের সঙ্গে ঘূরে বেড়াচ্ছে ময়ূর ছানাগুলো

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নতুন অতিথি হিসেবে ফুটেছে ৭টি ময়ূর ছানা। এর মধ্যে ছয়টি প্রাকৃতিকভাবে এবং একটি কৃত্রিম প্রজনন যন্ত্রে। ছানাগুলো এখন সুস্থ আছে।

সোমবার (২৭ মে) সকালে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তা দেওয়া ৯টি ডিমের মধ্য থেকে ৬টি ডিমের ছানা ফুটেছে। বাকি ৩ ডিম নষ্ট হয়ে গেছে।

গাজীপুর বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং বন্যপ্রাণী গবেষক মো. তবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় ২৭/২৮ দিন আগে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ৯টি ডিম নিয়ে মা ময়ূরটি তা দিতে বসেছিল। আজ সকালে ৬টি ছানা প্রস্ফুটিত হলো। ওরা প্রত্যেকেই সুস্থ আছে। মায়ের সঙ্গে এদিক-ওদিক ঘুরাঘুরি করছে।  

তিনি আরো বলেন, গত ২৪ এপ্রিল ৩০টি ময়ূরের ডিম ইনকিউবেটরে (কৃত্রিম প্রজনন যন্ত্র) রাখা হয়েছিল। ওগুলো থেকে শনিবার (২৫ মে) মাত্র ১টি ময়ূর ছানা ফুটেছে। ইনকিউবেটরের সাফল্যের হার প্রায় ৪০ শতাংশ। তবে বাকিগুলোও ফুটবে বলে আশা করছি।  

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে মোট ৮৪টি ময়ূর ছিল। সরকারিভাবে ১৩টি ময়ূর ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে দিয়ে দেওয়া হয়। অবশিষ্টগুলোর সঙ্গে নতুন ৭টি ছানা যোগ হয়ে এখন ৭৮টি হলো বলে জানান তবিবুর রহমান।

ময়ূরের ইংরেজি নাম Peafowl। এরা Phasianidae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত বড় আকৃতির সুন্দর পাখি। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশে এক সময় ময়ূর পাওয়া গেলেও বর্তমানে এ প্রাণীটি বিলুপ্ত। ভারতীয় উপমহাদেশে ‘নীল ময়ূর’ এবং ‘সবুজ ময়ূর’ নামে দুই প্রজাতির ময়ূর পাওয়া যায়। স্ত্রী ময়ূরটির দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য পুরুষ ময়ূরটি অপূর্ব পেখম মেলে তার দৈহিক সৌন্দর্যের জানান দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, ২৭ মে, ২০১৯
বিবিবি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।