ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

হত্যার পর বিড়াল গাছে বেঁধে নৃশংসতার প্রকাশ

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
হত্যার পর বিড়াল গাছে বেঁধে নৃশংসতার প্রকাশ এভাবেই একটি গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয় মৃত বিড়ালটিকে। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: সম্প্রতি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় একটি গাছে ঝুলন্ত মৃত বিড়ালের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর বিড়ালটিকে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।



স্থানীয়রা জানান, শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাস্তার পাশের গাছে বিড়ালের দেহটি ঝুলে থাকতে দেখেন তারা। কে বা কারা মেরেছে তা তারা জানেন না। দুপুরের পর সেটিকে নামিয়ে ফেলা হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর-কালিটি রোডের বিটিআরআই এলাকায়। একটি গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয় মৃত বিড়ালটিকে।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘নির্মম ঘটনা। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা তা বের করার চেষ্টা করছি। তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। যারা এমন নির্মম ঘটনা ঘটতে পারে তাদের দ্বারা যেকোনো অপরাধ সম্ভব। স্থানীয়দের উচিত এদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করা। ’

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী আদনান আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘বন্যপ্রাণী হত্যা করে উৎসব করতে দেশে শহরের চেয়ে গ্রামেই বেশি দেখা যায়। গ্রামে কম বয়সী ছেলে থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত যেকোনো একটি বন্যপ্রাণীকে মারতে পারলেই নিজ এলাকার নায়ক বনে যান। যেমন- কেউ একটি সাপ মারলে সব সময় বন্ধু মহলে গল্প করে যে, অমুক দিন এক বারিতে সাত হাত লম্বা একটি সাপ মেরেছে। এই লোক দেখানোর কারণগুলোর জন্য মানুষ বন্যপ্রাণী মেরে থাকে। শুধু বন্যপ্রাণী মেরেই তারা ক্ষান্ত হয় না, সাপ মারার পর সেটিকে রাস্তায় ফেলে রাখে। তার ওপর দিয়ে গাড়ি যখন যায় তখন তারা আনন্দ উল্লাস করে। ’ 

কুলাউড়ার এই বিড়ালটি দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি ডমেস্টিক ক্যাট, মানে বুনো বিড়াল না। আবার কারোর পালিত বিড়ালও না। এমনিতে আমাদের বাসা-বাড়ির আশ-পাশে যেসব বিড়াল ঘুরে বেড়ায় এটি সেরকম। যেহেতু বিড়ালটির রং সম্পূর্ণ কালো এবং মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে। তাই আমার ধারণা যারা যাদুটোনায় বিশ্বাসী তারাই এ কাজটি করে থাকতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।