ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

চোর আর খিস্তিবাজ ‘রাজার কাউয়া’!

বাংলানিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৫
চোর আর খিস্তিবাজ ‘রাজার কাউয়া’!

পাখপাখালির ডাক সবার প্রিয়। কিন্তু তাই বলে সব পাখির ডাকই কি মধুর আর শ্রবণসুভগ? ধরুন, কাকের কা-কা ডাক? সেই ডাক শুনতে কারই বা ভালো লাগে বলুন! সারাক্ষণ কানের কাছে কা-কা শুনলে মেজাজটাই বরং তিরিক্ষি হয়।

এজন্যই কাকের ডাককে বলা হয় ‘কাকস্য পরিবেদনা’। কাকের ডাকই শুধু নয়, কাকের সাবান চুরি, খাবার চুরি আর ছোঁ মেরে জিনিস চুরি করে নিয়ে যাওয়ার বদ খাসলত সবাইকে জ্বালিয়ে মারে। বিশেষত গৃহিনীদের জানি-দুষমন এই কাক।

এছাড়া কাক নিয়ে বহু সংস্কার কুসংস্কারও আছে। বেশিরভাগই নেতিবাচক। কাককে অশুভ বা শয়তানের প্রতীক বলেও ভাবা হয়। আবার কোনো বুড়ো মানুষ যখন বুড়ো হতে হতে বয়সের গাছপাথর ছাড়িয়ে যায় কিন্তু মরে না, তখন তাকে বলা হয় ভূষণ্ডির কাক। তো এবার এক দাঁড়কাকের কথা জানাচ্ছি।

ওকে দুষ্ট আর বদমায়েশ বললেও কম বলা হয়। কিন্তু হলে কি হবে ও যে স্বয়ং ব্রিটিশ রাজ পরিবারের পালিত কাক। মানে রাজ কাউয়া বা ‘রয়্যাল র‌্যাভেন’! ওর নাম ইজ্জি (Izzie)। নর্থ ইয়র্কশায়ারের কোনারেসবরো প্রাসাদ দেখতে আসা মানুষদের পিছে লাগাই ওর স্বভাব। ৮ বছর বয়সী এই রাজ কাউয়া মুক্ত পরিবেশে চলাফেরা করে। অতি আদরে বখে গিয়ে সে মানুষের চলাফেরা ও ভাবভঙ্গী নকল করতে ওস্তাদ। আর কথাও বলতে পারে অবিকল মানুষের মতো। তবে কথা যা যা সে বলে তা এতোই নোংরা আর অশ্লীল যে, তাতে লোকের আক্কেল গুড়ুমই হয় কেবল। গালিবাজ হিসেবে এরই মধ্যে ওর বদনাম ছড়িয়ে পড়েছে দিকে দিকে।

স্বভাবেও বড়ই ধূর্ত এই কাক। ট্যুরিস্টদের ক্যামেরা, মোবাইল ফোন, বাচ্চাদের হাত থেকে খেলনা চুরি করে বা ছোঁ মেরে নিয়ে যাবার জন্য সব সময়ই সে তক্কে তক্কে থাকে। ‘রাজার বাড়ির কাউয়া’ বলে সে এতোদিন এসব করেও পার পেয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু এবার ওকে শায়েস্তা করার পালা। কেননা সে এখন সবার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। নইলে কী আর পত্রিকা ওকে নিয়ে শিরোনাম করে: ‘Foul-mouthed Royal raven facing ASBO for stealing phones and cameras from tourists’। ইজ্জির বিরুদ্ধে অসামাজিক আচরণের অভিযোগ আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শাস্তি কার্যকর হলে মুক্ত হয়ে চলাফেরার সুযোগ আর সে পাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ০২০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৫
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।