ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

মাকে হারিয়েও হারাতে চায়নি সে!

বাংলানিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৫
মাকে হারিয়েও হারাতে চায়নি সে!

জগতে সবচে বড় শোক মাতৃশোক আর পুত্রশোক। যে হারায় সে-ই কেবল জানে।

কিন্ত মৃত্যু তো অমোঘ। মৃত্যুর করাল থাবা এক সময় সকল বন্ধন ছিঁড়ে নেয়। মানুষ প্রিয়জনের বিয়োগব্যথাকে এক সময় মেনেও নেয়। এটাই যেহেতু নিয়তি। কিন্তু সবাই তা পারে না। কেউ কেউ অতি আবেগে দিশেহারা থেকে যায় দীর্ঘ দীর্ঘ কাল।

অনেকে অনেক অদ্ভুত কাণ্ডও করে বসে। তবে আগের সব নজির ছাপিয়ে গেছেন রাশিয়ার ৬০ বছর বয়সী এক প্রবীণ। মায়ের মৃত্যুর পর সমাহিত না করে মায়ের মরদেহের মমি করে রেখে দিয়েছিলেন তিনি। তিন বছর আগে ওই লোকের মা মারা যান।

মাতৃশোকাতুর এই প্রবীণের নাম জানা যায়নি। তবে তিনি রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ইয়েসেনতুকির বাসিন্দা। একটা অনলাইন পত্রিকা খবরটির শিরোনাম করেছে: ‘Russian Man Mummifies Mom to Keep Her Close.’

পত্রিকাটিকে তিনি জানিয়েছেন মাকে তিনি এতোই ভালোবাসেন/বাসতেন যে, মায়ের মৃত্যুর পরও মাকে হারাতে চান নি। তাই মাকে তিনি চেয়েছিলেন নিজের কাছে রেখে দিতে। মায়ের মৃত্যুর সংবাদটা গোপন রেখেছিলেন। মায়ের মরদেহ সমাহিত না করে  বরং লবণ মাখিয়ে মমি বানিয়ে তা সেন্ট পিতার্সবুর্গ শহরের এক বাড়ির চিলেকোঠার ঘরে রেখে দিয়েছিলেন টানা তিন তিনটি বছর। মা যে মারা গেছেন সেটা যাতে গোপন থাকে সেজন্য মায়ের পেনশনের টাকাও তুলেছেন নিয়মিত। মার্কিন মুদ্রায় যা প্রতিমাসে ২৫৪ ডলার (১৬ হাজার রুবল)।  

মাতৃভক্ত এই প্রবীণ পেশায় একজন সেলসম্যান। গত শনিবার পুলিশ চিলেকোঠার ঘর থেকে মমি করা মরদেহটা উদ্ধার করেছে। ১৬০ সেন্টিমিটার লম্বা মমিটার সারা গায়ে লবণ মাখানো। তবে তা উলের মোজাপরানো, পায়ে চপ্পল আর নীল কোটে পরিপাটি করে সাজানো।

অবশেষে জগতের নিয়ম মানতেই হলো এই মাতৃভক্ত প্রবীণকে। যে মাকে হারাতে না চেয়ে তিনি মমি করে রেখেছিলেন সেই মমি সমাহিত করতেই হলো।

বাংলঅদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৫
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।