ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিন

পটুয়া কামরুলের জন্ম, বিমল মিত্রের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৬
পটুয়া কামরুলের জন্ম, বিমল মিত্রের প্রয়াণ বিমল মিত্র

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সে সব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে।

প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সে সব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন।

০২ ডিসেম্বর, ২০১৬, শুক্রবার। ১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
পটুয়া কামরুল

ঘটনা
-১৮০৪ সালে নেপোলিয়ন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।
-১৮৫২ সালে তৃতীয় নেপোলিয়নকে সম্রারাট করে দ্বিতীয় ফরাসি সাম্রারাজ্য ঘোষিত হয়।
-১৮৫৯ সালে আমেরিকার দাস বিদ্রোহী ও সমাজ সংস্কারক জন ব্রাউনকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
-১৯৮৪ সালে ভূপালে বিষগ্যাসে ৩ হাজার লোক নিহত এবং ৫০ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
-১৯৯৫ সালে লাওস প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

জন্ম
-১৯২১ সালে পটুয়া কামরুল হাসানের জন্ম।
পটুয়া কামরুল হাসান বাংলাদেশের অগ্রগণ্য শিল্পগুরুদের অন্যতম। ছবি আঁকার সঙ্গে সঙ্গে তিনি রাজনীতি ও সমাজ সংস্কারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। কামরুল হাসান ব্রিটিশ ভারতের বর্ধমান জেলার কালনা থানার নারেঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম আবু শরাফ মোহাম্মদ কামরুল হাসান। মোহাম্মদ হাশিম ও মোসাম্মৎ আলিয়া খাতুন দম্পতির সন্তান তিনি। তিনি জীবদ্দশায় বিভিন্ন পুরষ্কারে ভূষিত হন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (তমঘা-ই-পাকিস্তান, ১৯৬৫), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৭৯), বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মান (১৯৭৯), কাজী মাহবুবউল্লাহ ফাউন্ডেশন পুরস্কার (১৯৮৫) এবং ১৯৮৫ সালে তিনি বাংলা একাডেমীর ফেলো মনোনীত হন। এছাড়া ছাত্রজীবনে শরীরচর্চায় পারদর্শিতার কারণে মিস্টার বেঙ্গল উপাধি লাভ করেন।

মৃত্যু
-১৯৯১ সালে কথাসাহিত্যিক বিমল মিত্রের মৃত্যু।
বিমল মিত্র একজন বাঙালি লেখক। তিনি বাংলা ও হিন্দি উভয় ভাষায় সাহিত্য রচনা করেছেন। রেলে চাকরি করতে করতে সাহিত্যচর্চা করেন তিনি। প্রথম উপন্যাস ‘চাই’। পাঁচের দশকের ‘সাহেব বিবি গোলাম’ উপন্যাস লিখে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন তিনি। এরপর রেলের চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি সাহিত্যসৃষ্টিতে আত্মনিয়োগ। তার অন্যান্য বিখ্যাত উপন্যাস ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’, ‘একক দশক শতক’, ‘চলো কলকাতা’, ‘পতি পরম গুরু’ ইত্যাদি।

৫০০টি গল্প ও শতাধিক উপন্যাসের লেখক বিমল মিত্র তার 'কড়ি দিয়ে কিনলাম' গ্রন্থের জন্য ১৯৬৪ সালে রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়াও বহু পুরস্কার ও সম্মান লাভ করেন। তার রচনা ভারতের বিভিন্ন চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। স্রেষ্ঠ কাহিনীকার হিসেবে তিনি ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৬
আইএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।