আমার যখন দাখিল পরীক্ষা শুরু হয় তখন আমি শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ ছিলাম। কিন্তু তারপরও অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিই।
এর ফলে জিপিএ-৫ পেলেও গোল্ডেন পাইনি। আফসোস থাকলেও আল্লাহর কাছে আমি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। তার রহমতেই আমি অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও ভালো ফল অর্জন করেছি।
প্রত্যেকের জীবনের সফলতার জন্য কারও না কারো হাত থাকে। তেমনি আমার জীবনের এ সফলতার পেছনে মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। তিনি আমাকে সবসময়ই ভালোভাবে পড়ালেখা করার প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
আর শিক্ষকরা সবসময় আমাকে সামনে এগিয়ে চলার সাহস যুগিয়েছেন। তারা তাদের সাধ্যমত আমাকে সবরকম সাহায্য করেছেন। আর বন্ধুরাও সবসময় পাশেই ছিলো বলেই আজ আমি জিপিএ-৫ অর্জন করতে পেরেছি।
ভবিষ্যতে চিন্তাভাবনার মধ্যে এইসএসসিতে হাতেম আলী কলেজে ভর্তি হওয়া এবং এইসএসসিতেও জিপিএ-৫ পাওয়া। তারপর বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে চাই। এখন পর্যন্ত এই ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চাচ্ছি।
কিছু জ্ঞানহীন মানুষ আছে যারা বলে, মাদ্রাসায় পড়ালেখা করাটা সহজ ও সাধারণ। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষাকে হেলায়-ফেলায় দেখার সুযোগ নেই। সরকার মাদ্রাসা ও স্কুলের সব বই এক করেছে। পাশাপাশি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও স্কুলের শিক্ষার্থীদের মতো সব বিষয়ে সৃজনশীল পরীক্ষা দিয়েছে। কঠোর অধ্যবসায় আর পড়াশুনা ব্যতীত মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থায় জিপিএ-৫ অর্জন খুবই কষ্টের।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৭
এএটি/এসএনএস