জনতার চাহিদার কথা মাথায় রেখে বর্তমানে সারাবছরই দেশের বিভিন্নস্থানে চাষ হয় গোলাপ। তার মধ্যে রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভার অন্যতম।
এখানকার বিরুলিয়ায় বিশাল এলাকাজুড়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে গোলাপ ফুল। রাজধানী ঢাকা থেকে তাজা গোলাপ কিনতে বিরুলিয়ায় দলবেঁধে হাজির হন ব্যবসায়ী, তরুণ-তরুণী ও শিক্ষার্থীরা। তারা ইচ্ছে মতো কিনে নিয়ে যান।
একটা সময় ছিল যখন শৌখিন ব্যক্তিরাই কেবল বাড়ির আঙিনায় গোলাপের চাষ করতেন। দিন বদলেছে। এখন গোলাপের চাষ হয় বাণিজ্যিকভিত্তিতে। অনেক বেকার যুবকও ঝুঁকেছে এই পথে। সাভারের এসব গোলাপ চাষির উৎপাদিত ফুল বিদেশে রফতানির খবর না মিললেও ঢাকাসহ দেশি বাজারের চাহিদা মেটাতে অনেকাংশেই সক্ষম হচ্ছে।
বিরুলিয়া ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, একর একর জমিজুড়ে গোলাপের চাষ করছেন চাষিরা। পরিণত লাল গোলাপের দৃশ্য দেখে মনে হবে যেন দীগন্তজুড়ে লাল রঙের মাদুর!
ঢাকা থেকে আগত তরুণ-তরুণীরা বাংলানিউজকে বলেন, বিরুলিয়ায় গোলাপ চাষের কথা অনেক দিন ধরে শুনে আসছি। আজ দেখতে এসে অনেক ভালো লাগছে। আমরা সবসময় ফুল দোকান বা বিভিন্ন স্টল থেকে কিনে থাকি। কিন্তু বাগানের গোলাপের এতো সৌন্দর্য, এই সৌন্দর্যটাই আলাদা।
ঢাকা থেকে আগত বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিয়াদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবী মিলে গোলাপ ক্ষেতে দেখতে এসেছি। সঙ্গে কিনলামও।
কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, সাভারের বিভিন্ন এলাকায় ২৫০ হেক্টর জমিতে গোলাপের চাষ হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে বিরুলিয়া ইউনিয়নের বিরুলিয়া, মেস্তাপাড়া, সাদুল্লাহপুর, সামাইর ও শ্যামপুরে। এসব এলাকার দুই শতাধিক চাষি বাণিজ্যিকভাবে গোলাপের চাষ করছেন। ফলন আর চাহিদা ভালো হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে এর কলেবর।
চাষিরা বলছেন, অন্যবারের চেয়ে চলতি মৌসুমে বৃষ্টি কম হওয়ায় গাছে প্রচুর ফুল এসেছে। তাদের ব্যবসায়ও খুব ভালো হচ্ছে। প্রতিটি আঁটি ও বান্ডিলে সর্বমোট ৩০০ পিস করে গোলাপ ফুল থাকে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। বিশেষ দিবসগুলোয় ফুলের বেশি চাহিদা থাকায় তখন প্রতি বান্ডিল বিক্রি হয় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৬ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
আইএ