হকার নজরুল ঈষৎ হেসে উত্তর দিলেন, ‘আরে ভাই, রুমালের কাজ কি টিস্যু দিয়ে হয়?’
বোঝা যাচ্ছিলো বাসের মধ্যে ঘরমুখো মানুষে মানুষে ঠাসা, তারপরও তীব্র গরম, হকার নজরুলের চিকিৎকার শুনে বেশ বিরক্ত ওই যুবক।
কাকরাইল মসজিদ পার হচ্ছে তখন বাস, শাহবাগ গন্তব্য ওই যুবকের।
হকার নজরুল অভ্যস্ত হয়ে গেছেন বিভিন্ন মানুষের মন্তব্য শুনে। কথার ফাঁকে নজরুল বাংলানিউজকে জানালেন, রুমাল বিক্রি করেই চলে তার সংসার। হাতিরঝিলের পাশে সিদ্দিক মাস্টারের ঢালে একটি ঘর ভাড়া করে স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে থাকেন তিনি। তিনি প্রতিদিন বাসে বাসে উঠে যাত্রীদের কাছে রুমাল বিক্রয় করেন।
গরম বেশি পড়লে একটি বাসে পাঁচ থেকে ছয় পিস রুমাল বিক্রি হয় তার। তখন তার দিনে লাভ হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। রাজধানীর গুলিস্তান থেকে ছয় টাকা করে একেকটি রুমাল কিনে আনেন হকার নজরুল।
নজরুল বাংলানিউজকে বলেন, রুমাল কেবল রুমাল না। মানুষের কাছে ছোট ছোট জিনিস অনেক সময় অনেক দামী হয়ে ওঠে। রুমালও সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়। ঘাম মুছতে তো কাজে দেয়ই, ধুলা-বালি থেকে বাঁচায়, অসুস্থতায় সঙ্গে থাকে, গামছার কাজ করে এ সামান্য রুমাল।
নজরুল জানালেন, আর এর বাণিজ্যিক দিক হলো, আমার মতো কিছু মানুষের পরিবারের সদস্যের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করে। বাসে লক্ষ্য করলেই দেখবেন, এ রুমালের কত ধরনের কাজে ব্যবহার হয়! প্রতিদিন প্রায় ৮০ থেকে ১০০পিস রুমাল বিক্রি করে থাকি। আমার কাছে রুমাল কিনে যখন কেউ ব্যবহার করে, সেটা দেখতেও আমার ভালো লাগে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৭
এএটি/