স্কটিশ উইন্ড ফার্ম হাইউইন্ড পরীক্ষামূলকভাবে এ উইন্ডমিলটি চালু করতে যাচ্ছে, যা প্রায় ২০ হাজার বাসস্থানের বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।
বিশ্বের প্রথম ভাসমান উইন্ডমিলের নির্মাতা নরওয়ের পেট্রোলিয়াম কোম্পানি স্টাটওয়েল।
স্টাটওয়েলের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর লেইফ ডেলপ বলেন, ভবিষ্যতের কথা ভাবতে গেলে ভাসমান উইন্ডমিলের কোনো বিকল্প নেই।
জাপান, দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের মতো ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ভাসমান উইন্ডমিল।
স্কটল্যান্ডের উপকূলে এরই মধ্যে একটি উইন্ডমিল স্থাপন করা হয়ে গেছে। স্থাপনের অপেক্ষায় আরও চারটি। সমুদ্রের পাখিদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে উপকূল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে উইন্ডমিলগুলো স্থাপন করা হবে।
স্টাটওয়েল কোম্পানির এ উইন্ডমিলগুলোর উচ্চতা ১৭৫ মিটার বা ৫৭৫ ফুট। ওজন ১১ হাজার ৫শ টন। এর এক-একটি পাখা ৭৫ মিটার, যা একটি পূর্ণাঙ্গ যাত্রীবাহী প্লেনের পাখার সমান।
সম্প্রতি বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবেলায় জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু সৌরশক্তি বা বায়ুশক্তি কাজে লাগিয়ে জ্বালানি তৈরি করতে অনেক বেশি জমির প্রয়োজন হয়। তাই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার জ্বালানি সরবরাহে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে ভাসমান উইন্ডমিল।
ভাসমান উইন্ডমিলের নির্মাতারা মনে করেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবেলা ছাড়াও বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে আনবে তাদের উদ্ভাবন। তবে এর প্রয়োজন এই খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সহায়তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৭
এনএইচটি/এএ