রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান কেন্দ্রের অন্যতম আকর্ষণ শাপলা পুকুর। কিন্তু আষাঢ় শেষ হলেও শাপলা ফোটেনি একটিও।
ডালপালা ও পত্র-পল্লবে প্রশস্ত গাছগুলো যেন এই উদ্যানেরই সবুজের অফুরান অহংকার। তাইতো এই স্থানে ঘুরতে আসা অধিকাংশ দর্শনার্থীর কাছেই প্রিয় এ লালচে শরীরের গাছগুলো। কাদা জলে পা ডুবিয়ে থাকা এই বৃক্ষগুলোই বাংলাদেশের নিম্নাঞ্চলের অন্যতম সম্পদ জারুল।
কথা হয় দর্শনার্থী শামিমা ফারহানার সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, জারুল গাছের নাম বইয়ে পড়েছি অনেকবার, তবে এর আগে কখনও দেখা হয়নি। আজ শাপলা পুকুর দেখতে এসে গাছগুলোও দেখলাম। পুকুরের পাশে নিম্নাঞ্চল তৈরি করে গাছগুলো কর্তৃপক্ষ এনে বেশ দারুণ কাজ করেছে। এর ছায়ায় বসে মনটা কেমন জুড়িয়ে আসে। এছাড়া এখানে এসে অনেকেই অনেক বৃক্ষ সম্পর্কে বিষদভাবে জানতে পারবে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, জারুল গাছ নিম্নাঞ্চলের জলাভূমিতে ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে। তবে শুকনো এলাকায়ও এদের মানিয়ে নিতে সমস্যা হয় না। এছাড়া বসন্তে নতুন গাঢ় সবুজ পাতা গজায় এ বৃক্ষে। গ্রীষ্মে ফোটে অসম্ভব সুন্দর বেগুনি রঙের থোকা থোকা ফুল।
জারুলের কাঠ লালচে রঙের, অত্যন্ত শক্ত ও মূল্যবান। জারুলের ছোট একটি প্রজাতি রয়েছে, যা বৃহত্তর সিলেট ও কিশোরগঞ্জে প্রচুর দেখা যায়। এছাড়া জারুলের ভেষজগুণও রয়েছে বলে জানান তিনি, যা জ্বর, অনিদ্রা, কাশি ও অজীর্ণতায় কার্যকারী।
বাংলাদেশের একমাত্র জীবন্ত উদ্ভিদ সংগ্রহশালা হচ্ছে রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বা বোটানিক্যাল গার্ডেন। নিরিবিলি পরিবেশে এ উদ্যানে দুর্লভ ও বিলুপ্ত হতে চলা দেশি-বিদেশি প্রায় ৬৮ হাজার উদ্ভিদ রয়েছে। এছাড়া দর্শনার্থীদের কাছেও এ স্থানটি এতোটাই জনপ্রিয় যে, বছরে এ উদ্যানে প্রায় ২০ লাখ দর্শনার্থীর আগমন ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৭
এএ