বর্তমানে অ্যামাজনকে বিশ্ব সেরা ই-কমার্স সাইট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাছাড়া আয়ের দিক থেকে ইন্টারনেটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে অ্যামাজন।
এবার জেনে নেওয়া যাক জেফ বেজোস ও অ্যামাজন সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য:
১. জেফ বেজোসের প্রথম চাকরি ছিল একটি টেলিকম কোম্পানিতে। এছাড়া তিনি আরও কিছু ছোট-খাট চাকরি করেছিলেন। এমনকি গ্রীষ্মের ছুটিতে তিনি একবার ম্যাকডোনাল্ডসেও চাকরি করেন।
২. অ্যামাজন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাটি তিনি করেছিলেন নিউইয়র্ক থেকে সিয়াটল পর্যন্ত গাড়ি চালানোর সময়।
৩. অ্যামাজনের প্রথম অফিসটি ছিল বেজোসের বাড়ির গ্যারেজে।
৪. শুধু বই বিক্রির মাধ্যমে অ্যামাজন যাত্রা শুরু করেছিলো।
৫. ছোটবেলা থেকেই বেজোস মহাকাশ অভিযাত্রী হতে চেয়েছিলেন। বর্তমানে ব্লু অরিজিন নামে তার নিজের একটি মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান আছে।
৬. শুরুর দিকে অ্যামাজনের কর্মীদের সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় কাজ করতে হতো।
৭. পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন বেজোসের একদমই পছন্দ নয়। অ্যামাজনের কর্মীরা মেমো আকারে তাদের প্রপোজাল উপস্থাপন করে থাকেন।
৮. বেজোস সবসময়ই মনে করেন ছোট টিম অনেক বেশি দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে। তাই তিনি কর্মীদের সবসময় ছোট ছোট দলে ভাগ করে কাজে লাগান। এই পদ্ধতিকে টু পিৎজা রুল বলা হয়।
৯. অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত অ্যামাজনের গুদামঘরটির আকার প্রায় ১২ লক্ষ বর্গফুট। বর্তমানে রোবট প্রযুক্তির মাধ্যমে এই গুদাম রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়। এর আগে একই কাজ করতে প্রতিটি কর্মীকে দৈনিক ১১ কিলোমিটার হাঁটতে হতো।
১০. ২০০৩ সালে বেজোস হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য বেঁচে যান। এরপর থেকে হেলিকপ্টারে যাতায়াত প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন তিনি।
১১. অ্যামাজনের অনেক কর্মী পরবর্তীতে সফল উদ্যোক্তায় পরিণত হয়। এদের মধ্যে হুলু ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা জেসন কিলার ও কোরার প্রতিষ্ঠাতা চার্লি শিভার অন্যতম।
১২. ২০১৩ সালে মাত্র ৪০ মিনিট সাইট বন্ধ থাকার কারণে অ্যামাজনের ৪৮ লক্ষ মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়। প্রতি মিনিটে এই ক্ষতির পরিমাণ ১.২ লক্ষ মার্কিন ডলার।
১৩. ২০১৩ সালে সংবাদ মাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট কিনে নেন বেজোস।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৭
এনএইচটি/এএ