মানুষের আচার-ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে সিএনএন ট্রাভেলস তৈরি করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বন্ধুভাবাপন্ন ও চমৎকার জাতিদের একটি তালিকা।
এই তালিকা প্রকাশ করার সময় ছোট্ট একটি সতর্কবার্তাও জুড়ে দেয়া হয় সিএনএনের প্রতিবেদনে।
১৪। তুর্কি
তুরস্কের ভূখন্ড দুটি ভিন্ন মহাদেশ এশিয়া ও ইউরোপের অন্তর্ভূক্ত। তাই এখানে একদিকে যেমন রয়েছে ইউরোপের ছোঁয়া, অপরদিকে খুজে পাওয়া যায় এশিয়া, বিশেষ করে, মধ্যপ্রাচ্যের অনেক ঐতিহ্য। তাই এদেশের মানুষের মধ্যেও বৈচিত্র্যও লক্ষ করা যায়। সেই সাথে চমৎকার জাতিগুলোর তালিকায় তুর্কিদের নাম ১৪তম স্থানে।
১৩। বেলজিয়ান
ইউরোপের প্রথম নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বেলজিয়ামে। সুতরাং বেলজিয়ানরা মনের দিক থেকে উদারতার পরিচয় বহন করবে এতে সন্দেহ নেই। প্রতি বছর প্রায় দুই লক্ষ টন চকলেট উৎপাদিত হয় বেলজিয়ামে। এদেশের মানুষের আচার-ব্যবহারও যেন চকলেটের মতো মিষ্টি।
১২। নেপালি
পাহাড়ঘেরা মনোরম পরিবেশের নেপাল ভ্রমণকারীদের অন্যতম আকর্ষণের স্থান। এদেশের অধিবাসীরাও খুব শান্তিপ্রিয়। একজন নেপালিদের খুব কমই তাড়াহুড়ো করতে দেখা যায়। তাই চমৎকার জাতির তালিকায় নেপালিদের নাম থাকতেই হয়।
১১। অস্ট্রেলিয়ান
কাজের ফাঁকে একটু খেলাধুলা, ভ্রমণ বা অবসর সময় উপভোগ করতে চাইলে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত দেশটি হলো অস্ট্রেলিয়া। এদেশে যেমন রয়েছে ভাল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, সেই সাথে কাজের ফাঁকে মেলে পর্যাপ্ত অবসর। অস্ট্রেলিয়ানদের জীবনযাত্রার মানও উন্নত। সেই সাথে এই তালিকায় অস্ট্রেলিয়ানদের অবস্থান ১১তম।
১০। চীনা
প্রায় দেড়শো কোটি মানুষের দেশ চীন। ঘন জনবসতির এই দেশের মানুষেরা ঐতিহ্যের প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল। অতিথিকে সম্মান প্রদর্শন করা এদেশের সংস্কৃতির একটি অংশ। তাই চীনাদের অবস্থান এই তালিকার ১০ নম্বরে।
৯। বোতসোয়ানিজ
সহজ-সরল জীবন যাপনের জন্য বোতসোয়ানার অধিবাসীদের বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। এদেশের মানুষ নিজেদের বাড়িঘর নিজেরাই তৈরি করে এবং প্রতিবেশিদের সাথে বন্ধুর মতো সম্পর্ক গড়ে তোলে। আফ্রিকার অন্যান্য দেশের মতো এখানকার সাফারি পার্কের চারপাশে কোনো বেড়া দেয়া নেই। মুক্ত পরিবেশে স্বাধীনভাবে বিচরণ করে সকল বন্যপ্রাণী।
৮। জাপানি
দুইবার পারমাণবিক বোমায় বিধ্বস্ত হওয়া জাপান বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে সুখি দেশগুলোর অন্যতম। এদেশের শিক্ষার হার ১০০ ভাগ। জাপানিদের কিছু আজব শখ থাকলেও আধুনিক সমাজব্যবস্থা, ফ্যাশন ও উন্নত প্রযুক্তির এই জাতির অবস্থান আট নম্বরে।
৭। স্প্যানিশ
ইউরোপিয়ান ভ্রমণকারীদের কাছে ঘুরতে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে পছন্দের দেশ হলো স্পেন। কারণ এদেশের রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া, সমুদ্র, ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং সবচেয়ে বড় কথা এদেশের মানুষ। স্প্যানিশরা জাতি হিসেবে খুবই আমুদে। সারা বছর বিভিন্ন উৎসব যেন লেগেই থাকে। আর এসকল উৎসব অন্যান্য দেশের মানুষকে কাছে টেনে আনে সহজে।
৬। কোরিয়ান
কোরিয়ানদের ভাষা অন্যদেশের মানুষজনের কাছে অনেক জটিল ঠেকলেও, চলচ্চিত্র, ফ্যাশন, গান-বাজনার মাধ্যমে কোরিয়ানরা স্থান করে নিয়েছে বিশ্ববাসীর হৃদয়ে।
৫। আমেরিকান
বিশ্বরাজনীতিতে মাঠ-গরম-করা আমেরিকানদের নাম এই তালিকায় দেখে অবাক হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু আমেরিকা যদি না থাকতো তবে রক অ্যান্ড রোল, হিপ-হপ, হলিউড মুভি, ব্লু জিন্স, আমেরিকান থ্রিলার উপন্যাস কোথা থেকে আসত?
৩। জামাইকান
উসাইন বোল্টের দেশ জামাইকা। জামাইকানরা বিখ্যাত তাদের বিচিত্র ধর্মের কারণে। যেখানে কৃষ্ণাঙ্গদের সৃষ্টিকর্তার মনোনীত জাতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া তাদের অনন্য বাচনভঙ্গি ও হেয়ার স্টাইল বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। তবে এদেশে মানুষ হত্যার পরিমাণ অনেক বেশি, যা ভ্রমণকারীকে দুশ্চিন্তায় ফেলবে।
২। সিঙ্গাপুরিয়ান
সিঙ্গাপুরের প্রায় প্রতিটি শিশুই বড় হয় প্রযুক্তির হাত ধরে। এদেশের সবাই কম্পিউটার চালাতে জানে। স্কুলে থাকতেই শিশুদের শিখতে হয় প্রোগ্রামিং ভাষা। চমৎকার জাতিদের তালিকায় এরা দ্বিতীয়।
১। ব্রাজিলিয়ান
ব্রাজিলিয়ানরা না থাকলে বিশ্ব ফুটবলে উত্তেজনাটা যেন একটু কমই হতো। থাকতো না সাম্বা নাচ বা রিও কার্নিভালের মতো দুনিয়া মাতানো উৎসব। এদেশের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যেরও যেন শেষ নেই। এছাড়া আমুদে ও উদার মানসিকতার অধিবাসীদের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে চমৎকার জাতির তালিকায় ব্রাজিলিয়ানদের অবস্থান এক নম্বরে।
বাংলাদেশ সময়:০৩৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৭
এনএইচটি/জেএম