বিশালাকার লোমশ প্রাণী বাইসনেরও রয়েছে দু’টি প্রজাতি- আমেরিকান বাইসন ও ইউরোপিয়ান বাইসন। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্তন্যপায়ীর মর্যাদা পায় আমেরিকান বাইসন।
বাইসন সম্পর্কিত জানা-অজানা কিছু তথ্য পাঠকের কাছে তুলে ধরা হলো।
১.
উত্তর আমেরিকার সর্ববৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণী বাইসন। এটি ৭ ফুট থেকে সাড়ে ১১ ফুট পর্যন্ত দৈর্ঘ্যের হয় গড়ে, মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত। এর ওজন ৪২২ থেকে ৯৯৮ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
২.
মূলত যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকোর সংরক্ষিত অঞ্চল অথবা খামারগুলোয় বাইসন দেখা যায়। অন্যদিকে, ইউরোপিয়ান বাইসন এক সময় সমগ্র ইউরোপজুড়ে দেখা গেলেও বর্তমানে শুধু পোল্যান্ড, বেলারুশ, লিথুয়ানিয়া, রাশিয়া, ইউক্রেইন ও স্লোভাকিয়ায় দেখা যায়।
৩
বাইসন সামাজিক জীব এবং এরা বড় পালের মধ্যে বাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। বাইসনদের মধ্যে পুরুষ ও নারীর পাল আলাদা থাকে। শীত ও গ্রীষ্মে এরা পরিযায়ী প্রাণীদের মতো দলবেঁধে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাত্রা করে।
৪
আকারে বিশাল হলেও এ প্রাণীটি বিশুদ্ধ তৃণভোজী। বাইসন সাধারণত ঘাস-লতা খেলেও ক্ষেত্রবিশেষে গাছের পাতা ও ডালপালাও খেতে দেখা যায়।
৫
মার্চ থেকে মে মাসে বাইসন বাছুর জন্ম দেয়। এই বাছুরদের শুধু মা বাইসনই নয় বরং সমগ্র বাইসন পাল মিলে নিরাপত্তা দিয়ে রাখে বড় না হওয়া পর্যন্ত।
৬
নারী-পুরুষ উভয় বাইসনেরই শিং থাকে।
৭
বাইসব ভারী ওজনের পরেও দ্রুতগতির প্রাণী। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার তথ্যানুসারে বাইসন ঘণ্টায় ৪০ মাইল গতিতে দৌড়াতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৭
এনএইচটি/এএ