ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৭
শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।

৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, মঙ্গলবার। ২১ ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।  

ঘটনা
১৬১২ - চারটি যুদ্ধজাহাজ নিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নৌবাহিনী গঠন।
১৭৬৩ - ব্রিটিশ বাহিনী বাজমহলের কাছাকাছি উদয়নালায় মীর কাশিমকে পরাজিত করে।
১৯০৫ - রাশিয়া ও জাপানের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৩৯ - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র তার নিরপেক্ষতা ঘোষণা করে।
১৯৬০ - রোম অলিম্পিক আসরে মোহাম্মদ আলী বক্সিংয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন।
১৯৭২ - মিউনিখ গণহত্যা; ব্লাক সেপ্টেম্বর নামক একটি প্যালেস্টাইন স্বাধীনতাকামী দল মিউনিখ অলিম্পিক গেমসে ১১ জন ইসরাইলিকে হত্যা করে।
২০০০ - প্রশান্ত মহাসাগীয় দ্বীপ টুভ্যালু জাতিসংঘে যোগ দেয়।
 
জন্ম
১১৮৭ - অষ্টম লুইস, ফ্রান্সের রাজার জন্ম।
১৭৭৪ - ডেভিড ফ্রেডরিখ, জার্মান চিত্রকর, ক্যাস্পারের জন্ম।
১৮৮৮ - স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ও দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন।
১৯৫৪ - রিচার্ড অস্টিন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার।
১৯৭০ - বাংলাদেশের সাবেক বাম হাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিক।
১৯৭৯ - আয়ান আলি খান, ভারতীয় শাস্ত্রীয় যন্ত্রসংগীত শিল্পী।
১৯৯১ - ইমরান মাহমুদুল হক, বাংলাদেশি সংগীত শিল্পী।

মৃত্যু
১১৬৫ - নিযো, জাপানের সম্রাট।
১৫৬৬ - তুর্কী সুলতান সোলাইমান আজম।
১৭৮৬ - পর্যটক জন হ্যানয়, ইংরেজ ব্যবসায়ী।
১৮৫৭ - অগুস্ত কোঁত, ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী।
১৮৫৯ - শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী সুলেমান বন্দরনায়েক নিহত হন।
১৯৭১- বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান  ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় তিনি তাদের অন্যতম। ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল জেলার মহিষখোলা গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে নূর মোহাম্মদ জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ, মা জেন্নাতুন্নেসা। অল্প বয়সে বাবা-মাকে হারানোর ফলে শৈশবেই ডানপিটে হয়ে পড়েন। সপ্তম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করেননি। ১৯৫৯ সালের ১৪ মার্চ পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস বা ইপিআরে যোগদান করেন। দীর্ঘদিন দিনাজপুর সীমান্তে চাকরি করে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই নূর মোহাম্মদকে দিনাজপুর থেকে যশোর সেক্টরে বদলি করা হয়। এরপর তিনি ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি পান। ১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নং সেক্টরে স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ চলাকালে যশোরের শার্শা থানার কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদার নেতৃত্বে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।

১৯৭৪ - বাংলার লোকসঙ্গীত শিল্পী আবদুল আলীম।
১৯৯৭ - মাদার তেরেসা, শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।
২০০৯ - সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান

বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৭
এনএইচটি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।