ডিএফআই প্রযুক্তি এক ধরণের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের মুখমণ্ডলের একটি মানচিত্র তৈরি করে, ফলে মুখমণ্ডল আবৃত অবস্থাতেও পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়। এছাড়াও মুখোশ পরিহিত অবস্থায়, নকল দাড়ি-গোঁফ ব্যবহার করলে বা সানগ্লাস পরে থাকা অপরাধীদের শনাক্ত করতে সক্ষম এই প্রযুক্তি।
এই ডিএফআই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক। তারা মনে করেন অপরাধী শনাক্তকরণে নতুন মাত্রা যোগ করবে এই প্রযুক্তি। গবেষক দলের প্রধান আমারজত সিং বলেন, ‘এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা ব্যাপক। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুলোর জন্য খুবই কার্যকরি ভূমিকা রাখবে তা’।
সম্প্রতি বিভিন্ন রকম চেহারার নারী-পুরুষের মধ্যে এই প্রযুক্তির পরীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকরা। প্রথমে প্রত্যেকের একটি করে সাধারণ ছবি নেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন রকমের মুখোশ ও নকল দাড়ি-গোঁফ পরিহিত অবস্থায় তাদের ছবি নেওয়া হয়। পরীক্ষায় স্কার্ফ বা টুপি পরিহিত অবস্থায় মানুষের পরিচয় শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ সময় সফলভাবে কাজ করেছে এ সফটওয়্যার।
এই সফটওয়্যারটি মানুষের মুখমণ্ডলকে ১৪টি ফেসিয়াল পয়েন্টের মাধ্যমে চিহ্নিত করে- চোখের ক্ষেত্রে ১০টি, ঠোঁটের ক্ষেত্রে তিনটি ও নাকের ক্ষেত্রে একটি ফেসিয়াল পয়েন্ট। এর মাধ্যমে মুখোশ পরিহিত ব্যক্তির মুখমণ্ডলের একটি সম্ভাব্য মানচিত্র তৈরি করে সফটওয়্যারটি।
গবেষকরা জানান, তাদের গবেষণা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দাওয়ার আগে সফটওয়্যারটিতে আরো অনেক তথ্য ইনপুট করা প্রয়োজন। অপরদিকে এই সফটওয়্যারটি মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার জন্য হুমকি স্বরূপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৭
এনএইচটি/এমজেএফ