ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

প্রাবন্ধিক মোতাহের হোসেন চৌধুরীর প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
প্রাবন্ধিক মোতাহের হোসেন চৌধুরীর প্রয়াণ মোতাহের হোসেন চৌধুরী

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলা নিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, সোমবার। ৩ আশ্বিন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।  

ঘটনা
১১৮০ - ফিলিপ অগাস্টাস ফ্রান্সের রাজা হন।
১৫০২ - ক্রিস্টোফার কলম্বাস কোস্টারিকা আবিষ্কার করেন।
১৬৩৫ - সম্রাট দ্বিতীয় ফার্দিনান্দ ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।
১৭৩০ - ফ্রান্স ও স্পেন শান্তিচুক্তি করে।
১৮১৮ - চিলি স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে।
১৮৫১ - ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত।
১৯০৬ - টাইফুন ও সুনামিতে হংকংয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
১৯১৯ - নেদারল্যান্ডস নারীদের ভোটাধিকার দেয়।
১৯২৩ - ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়।
১৯২৪ - হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধী অনশন শুরু করেন।
১৯৩৪ - ইউএসএসআর লিগ অব নেশনসের অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৯৩৪ - মুসোলিনির শাসনে ৮ থেকে ৫৫ বছরের ইতালিয়ানদের সামরিক প্রশিক্ষণ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়।
১৯৬১ - সুইডিস রাজনীতিবিদ ও জাতিসংঘের দ্বিতীয় মহাসচিব দ্যাগ হেমার শোল্ড এক প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত হন।
১৯৮৮ -সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে এবং বার্মা রাষ্ট্রের নাম হয় মিয়ানমার।  

জন্ম
১৮৬৭ - চিত্রশিল্পী গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৮৬৯ - বিজ্ঞান লেখক জগদানন্দ রায়।
১৯০৫ - অভিনেত্রী গ্রেটা গার্বো।
১৯৫৪ - মার্কিন মনোবিজ্ঞানী স্টিভেন পিংকার।
১৯৭০ - ইংলিশ ক্রিকেটার ড্যারেন গফ।

মৃত্যু
১১৮০ - ফ্রান্সের রাজা সপ্তম লুই।
১৭৮৩ - গণিতবিদ লিওনার্ট অয়লার।
১৮৯৯ - বাঙালি চিন্তাবিদ এবং সাহিত্যিক রাজনারায়ণ বসু।
১৯৫৬ - প্রাবন্ধিক মোতাহের হোসেন চৌধুরী। তিনি ১৯০৩ সালে নোয়াখালী জেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তবুদ্ধিচর্চার প্রবক্তা, উদার মানবতাবাদী ও মননশীল প্রবন্ধকার হিসেবে মোতাহের হোসেন চৌধুরী অর্জন করেন বিশেষ খ্যাতি। ঢাকার মুসলিম সাহিত্য সমাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন তিনি। সাহিত্য সমাজের সভা ও সম্মেলনে তার অংশগ্রহণ ছিল নিয়মিত। লেখক রচিত ‘আমাদের দৈন্য’, ‘আদেশপন্থী ও অনুপ্রেরণাপন্থী’ ও ‘মুসলমান সাহিত্যিকদের চিন্তাধারা’ প্রবন্ধ তিনটি যথাক্রমে সাহিত্য সমাজের পঞ্চম (১৯৩১), ষষ্ঠ (১৯৩২) ও অষ্টম (১৯৩৪) বার্ষিক সম্মেলনে পাঠ করা হয়। এছাড়াও তার ‘রবীন্দ্রনাথ ও বৈরাগ্যবিলাস’ প্রবন্ধটি সমাজের মুখপত্র ‘শিখা’র পঞ্চম বর্ষ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
মোতাহের হোসেনের প্রবন্ধের গদ্যশৈলীতে প্রমথ চৌধুরী এবং মননে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’র প্রভাব লক্ষণীয়। তার রচনায় সংস্কৃতি, ধর্ম, মানবতাবোধ ও মানুষের জীবনাচরণের মৌলিক বিষয়গুলি সংজ্ঞায়িত ও উন্মোচিত হওয়ার প্রয়াস দেখিয়েছে। বিচিত্র ও সুন্দর জীবনের মধ্যেও তিনি মহত্তম জীবন খুঁজে বেড়িয়েছেন। ‘সংস্কৃতি কথা’ (১৯৫৮) তার প্রধান প্রবন্ধ গ্রন্থ। বার্ট্রান্ড রাসেলের ‘কনকোয়েস্ট অব হ্যাপিনেস’ গ্রন্থের অনুবাদ ‘সুখ’ (১৯৬৫) তার দ্বিতীয় গ্রন্থ এবং তৃতীয় গ্রন্থ ক্লাইভ বেল-এর ‘সিভিলাইজেশন’ গ্রন্থের ভাবানুবাদ ‘সভ্যতা’ (১৯৬৫)।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।