দপদপিয়া সেতু থেকে উপভোগ করা যাবে নীল দিগন্তে মিলিয়ে যাওয়া কীর্তনখোলার পানি। সেতু পার হলেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরিবিলি, খোলামেলা ও শান্তিময় ক্যাম্পাস।
বরিশাল ভ্রমণের সময় স্বল্পতার কারণে ইচ্ছা ছিল দপদপিয়া সেতু থেকে সরাসরি কীর্তনখোলার পারে পৌঁছানোর। কীর্তনখোলা নদীর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে সবচেয়ে সহজ বিকল্প মুক্তিযোদ্ধা পার্ক। নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে এ পার্কটি।
গুগল ম্যাপের হিসেবে সদর থেকে মুক্তিযোদ্ধা পার্ক মাত্র ১৫ মিনিটের রাস্তা। পার্কে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মানুষের ঢল। পরিবার নিয়ে সবাই বেড়াতে এসেছেন। শিশুদের কোলাহলের রেশ ধরেই পৌঁছে যাওয়া বিখ্যাত নদীটির পাড়ে।
পরিকল্পনা থাকলেও সবাইকে পড়ন্ত বিকালের মিষ্টি রোদে নৌকায় চড়তে দেখে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন। ইঞ্জিন বসানো সুবিশাল নৌকার মাঝি পাড়ে দাঁড়ানো দর্শকদের ডাকছেন, জনপ্রতি বিশ টাকা ভাড়ায় নৌকা ভ্রমণের। একটি নৌকায় চড়ে বসেছেন বয়স্ক থেকে শিশু- সব বয়সী প্রায় পনের থেকে বিশজন। তাদের পথ ধরে চেপে বসা নৌকায়।
নৌকা ঘাট ছাড়লেই নদীর বিশুদ্ধ বাতাসের ঝাপটা এসে লাগলো। অনেকেই নৌকার কিনারায় বসে নদীর ঢেউ ছুঁয়ে দেখছিলেন। সাহসীরা পা ডুবিয়েও বসে ছিলেন। নৌকা থেকে চোখে পড়লো দূরের দপদপিয়া ব্রিজ, পাখিদের ঘরে ফেরা, আর সূর্য ডোবার দৃশ্য।
ফিরে আসার পথে চোখে পড়লো বিশাল দানবাকৃতির নোঙরযুক্ত উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীক ও অন্যান্য। সেই সঙ্গে আগুনরাঙা সন্ধ্যায় চোখে পড়লো পাড়ঘেঁষে গড়ে ওঠা বিভিন্ন রঙের মেলা, বাদাম, মুড়িমাখা, চটপটি-ফুচকার দোকান ও প্রচুর মানুষের আনাগোনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
এনএইচটি/এএ