সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় এ উৎসবের আয়োজন করে পিপলস থিয়েটার এসোসিয়েশন।
সন্ধ্যায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং পিপলস থিয়েটার এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা লিয়াকত আলী লাকীর সঙ্গে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইব্রাহীম হোসেন খান, আতাউর রহমান এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, যুবনাট্য উৎসব তারুণ্যের উৎসব। শিল্প সাহিত্যে প্রণোদনার মাধ্যমে আমরা যদি কুশীলব হিসেবে এই যুব সমাজকে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে আমরা যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, তা নির্মাণে এই যুব সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি পিপলস নাট্য থিয়েটার এসোসিয়েশন আমাদের মস্তিষ্কের অচলায়তনটা ভাঙতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে বলেও জানান তিনি।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, একজন শিল্পী কখনোই সমাজের বাইরে নয়। তাই সমাজের ভালো মন্দ সবকিছুই তাকে গ্রহণ করতে হবে। সবকিছুই তার শিল্পে তুলে আনতে হবে। চেষ্টা করতে হবে পরিবর্তনের। কেননা, শিল্প শুধু শিল্প নয়, তা পরিবর্তনের হাতিয়ার।
লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শিশুদের খুব শিগগিরই ড্রামা থিওরির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। তিনি বলেন, নিজেদের চোখের সামনে বাবা মাকে হত্যা সহ বিভিন্ন নির্যাতন দেখে এইসব শিশুরা এখন অভিব্যক্তিহীন। তাই জন্য তাদের মুখে কথা আনতে, তাদের মুখে হাসি ফোটাতে খুব শিগগিরই ড্রামা থিওরির ব্যবস্থা করা হবে।
এছাড়া বর্তমান সময়ে নাটকে যে সকল নতুন দিকগুলো উঠে আসছে, তা আরো উন্নত বলে জানান তিনি। নতুন নতুন বিষয়গুলোতে অন্যদের থেকে যুব সমাজের অংশগ্রহণটাই সবথেকে বেশি বলে উল্লেখ করেন যুবনাট্য উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এই সভাপতি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সম্প্রতি চীন থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করে আসা শিল্পকলার শিশু এক্র্যোলিক শিল্পীরা তাদের শিল্প পরিবেশন করে। ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ৬ষ্ঠ এই জাতীয় যুবনাট্য উৎসব চলবে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৫ ঘণ্টা, ১ অক্টোবর, ২০১৭
এইচএমএস/আরআই