ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

একলা মানুষ টুকরা মাত্র

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
একলা মানুষ টুকরা মাত্র খেলাঘর আসরের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন আতিউর রহমান

ঢাকা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দরিদ্র মানুষের খুব কাছ থেকে দারিদ্র্য দেখেছেন। এজন্য তিনি সবসময়ই সমাজের পরিবর্তনের কথা ভেবেছেন। রবীন্দ্রনাথের পাশাপাশি মানুষের সাথে ছিলেন নজরুল। আর সুকান্ত অবদান রেখেছেন সমাজ ও রাজনৈতিক ভাবনায়। এমনটাই বলছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর রবীন্দ্র-নজরুল ও সুকান্ত জয়ন্তী উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত ওই সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক গভর্নর।

 

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা পান্না কায়সার।

ড. আতিউর রহমান বলেন, একাত্তর পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭২ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৭ বা ৪৮ বছর। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ দশমিক ২ বছর। বেড়েছে মাথাপিছু আয়। সেদিক থেকেও বাংলাদেশ এগিয়ে পাশ্ববর্তী ভারত কিংবা পাকিস্তানের থেকে।

ঐক্যবদ্ধতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতাসহ বাংলাদেশের এ অর্জন সম্ভব হয়েছে ঐক্যবদ্ধতার কারণে। তাই খেলাঘরের প্রতিটি বন্ধুসহ দেশের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। কেননা রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ‘একলা মানুষ টুকরা মাত্র’। তাই আমাদের বিচ্ছিন্ন টুকরো হিসেবে না থেকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তবেই আমাদের দেশের সর্বোচ্চ সাফল্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
খেলাঘর আসরের শিশু-কিশোররাঅধ্যাপক সৌমিত্র শেখর বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম ও সুকান্ত ছিলেন সমগ্র দেশের। তারা কখনো নিজেদের শুধুমাত্র নিজেদের জন্যই ভাবেননি। তারা নিজেদের ভেবেছেন সবার জন্যে, সবার করে। তাদের মতো গুণীজন বর্তমান সময়ে আমাদের আরও প্রয়োজন।

তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও সুকান্তের মতো আমাদেরও চেষ্টা করতে হবে সার্বিক বিষয়ে জ্ঞান রাখার জন্য। তাদের মতো আমাদের সমাজের পরিবর্তনের কথা ভাবতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপিকা পান্না কায়সার বলেন, খেলাঘর আসর বরাবরই শিশুদের জ্ঞান বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। পাশাপাশি অবদান রাখছে কল্পনা ও চিন্তা শক্তির বিকাশে। এ ভূমিকা আগামীতে অব্যহত থাকবে ও খেলাঘরের সদস্যরা নতুন নতুন বাংলাদেশ গড়তে অবশ্যয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে নৃত্য, সংগীত পরিবেশন ও আবৃত্তি করেন খেলাঘরের ছোট্ট শিল্পীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।