বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এসব প্রাচীন সভ্যতার রহস্য খুঁজে বেড়াচ্ছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। তারা এ কাজে যতোই অগ্রসর হচ্ছেন, ততোই অবাক করা সব তথ্যের সম্মুখীন হচ্ছেন।
ম্যান অব লা ভেন্টা
ছবিটি ১৯৪৭ সালের। তুলেছেন রিচার্ড হেওট। মেক্সিকোর দক্ষিণের তাবাস্কোতে সন্ধান মেলে এই বিশালাকার পাথরের মুণ্ডুটি। গবেষকরা জানান এটি ওলমেক সভ্যতার তৈরি। ওলমেক হলো মেসোআমেরিকার (দক্ষিণ মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার কিছু অঞ্চল) সবচেয়ে প্রাচীন মানবসভ্যতা। ধারণা করা হয়, প্রায় দশ বছর পূর্বে এ অঞ্চলে ওলমেকদের বিকাশ ঘটে। এখন পর্যন্ত ওলমেক সভ্যতার ১৭টি বিশালাকার পাথরের মুণ্ডু আবিষ্কৃত হয়েছে। এগুলোর নিখুঁত নির্মাণশৈলী ও আকৃতি বিস্মিত করে গবেষকদের।
স্টোন অব স্টানিস
স্কটল্যান্ডের উত্তর-পূর্বে ওর্কনিতে সন্ধান পাওয়া এ প্রাচীন স্তম্ভটিকে বলা হয়- দ্য স্ট্যান্ডিং স্টোন অব স্টানিস। নব্যপ্রস্তরযুগে (খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ সাল) বিস্ময়কর এ স্থাপনাটি নির্মাণ করা হয়েছিলো। এটি ব্রিটিশ অঞ্চলের সবচেয়ে প্রাচীন হেজ (কাঠ বা পাথর দিয়ে নির্মিত বৃত্তাকার স্তম্ভ) নিদর্শন। ছবিটি তুলেছেন জিম রিচার্ডসন।
পানির নিচে মায়া সভ্যতার গোপন দুনিয়া
একজন ডুবুরি মেক্সিকোর উপকূলে প্রাচীন মায়া সভ্যতার এক বিস্ময়কর তথ্য আবিষ্কার করেন। সমুদ্রের তলদেশের একটি সিংকহোলে (পানির তলদেশের গুহা, যার ভেতর প্রাকৃতিকভাবে বায়ু আটকে থাকে) মায়া সভ্যতার বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রী পাওয়া যায়। মায়ারা বিশ্বাস করতো এসব সিংকহোলে ছিল বৃষ্টি দেবতা চাকের বসবাস। তাই দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে এ স্থানে বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী রেখে আসতো তারা। মেরিন ফটোগ্রাফার পল নিকলেনের ক্যামেরায় দৃশ্যটি ধারণ করা হয়েছে।
পোড়ামাটির যোদ্ধা
পোড়ামাটির তৈরি হাজার হাজার মানব আকৃতির যোদ্ধা পাহারা দিচ্ছে চীনের সম্রাট কিন শি হুয়াংয়ের সমাধি। ১৯৭৪ সালে চীনের ঝিয়াং শহরের কাছে কয়েকজন কৃষক এ বিস্ময়কর প্রত্নতত্ত্বটি খুঁজে পায়। গবেষকরা মনে করেন, আধুনিক যুগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। ছবিটি তুলেছেন লুইস মাযাটেন্টা।
পৃথিবীর প্রথম মানুষের সন্ধানে
১৯৬১ সালের এ ছবিটি তুলেছেন রবার্ট সিসন। তানজানিয়ার একটি দুর্গম এলাকায় প্রাচীন মানুষের জীবাশ্মের সন্ধান করছেন জীবাশ্মবিদ লুইস লিকি ও তার পরিবার।
বরফ মানবের মরদেহ
ছবিটি ২০১১ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির একটি প্রবন্ধে প্রকাশিত হয়। বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা ছবিটি পাঁচ হাজার বছর আগের একজন মানুষের মরদেহ। ১৯৯১ সালে অস্ট্রিয়া ও ইতালির সীমান্তবর্তী বরফ আবৃত পাহাড়ে হিমায়িত অবস্থায় পাওয়া যায় মরদেহটি। গবেষকরা এর জেনেটিক গঠন ও মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করার সময় ছবিটি তুলেছেন রবার্ট ক্লার্ক।
প্যালেস অব পালেংক
মেক্সিকোর সাইপাসে অবস্থিত মায়া সভ্যতার অন্যতম নিদর্শন প্যালেস অব পালেংক। প্রায় একশ বছর আগে তোলা এ ছবিটি প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আলফ্রেড মডস্লের রচিত মধ্য-আমেরিকার প্রাচীন সভ্যতা বিষয়ক গবেষণা গ্রন্থ ‘বিওলজিয়া সেন্টালি-আমেরিকানা আর্কিওলজি’র ১৯৮৯ সালের সংস্করণে ছবিটি স্থান পায়। গ্রন্থ রচয়িতা নিজেই ছবিটি তুলেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এনএইচটি/এএ