সোমবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘ভাই গিরিশচন্দ্র সেন: ক্ষণজন্মা পুরুষের পথ চলা’ শীর্ষক স্মৃতিবক্তৃতার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্মৃতিবক্তৃতা প্রদান করেন ড. মোহাম্মদ আলী খান।
অনুষ্ঠানে মূলবক্তা বিশিষ্ট গবেষক ড. মোহাম্মদ আলী খান ভাই গিরিশচন্দ্র সেনের জন্ম, বেড়ে উঠা, লেখাপড়া ও লেখা-লেখির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন
তিনি বলেন, গিরিশচন্দ্র সেন ছিলেন সাদামাটা অথচ একজন বর্ণিল মানুষ। ৭৪ বছরের জীবনে তিনি পবিত্র কোরআন ও হাদিসের পাশাপাশি অসংখ্য গ্রন্থ অনুবাদ করেছেন। অনুবাদের পাশাপাশি রচনা করেছেন বিভিন্ন গ্রন্থ।
পবিত্র কোরআন শরীফের অনুবাদ করা নিয়ে তিনি বলেন, ভাই গিরিশচন্দ্র অনুবাদক হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায় করেছেন। ১৮৭৬ সালে আরবি ভাষা শেখার জন্য তিনি লখনৌ যান। সেখানে তিনি মৌলভী এহসান আলীর অধীনে আরবী ও আরবী ব্যাকরণসহ দিওয়ান-ই-হাফিজ শেখেন।
পরবর্তীতে ঢাকা ফিরে নলগোলার মৌলভী আলীম উদ্দীন সাহেবের কাছে আরবী সাহিত্য ও আরবী ইতিহাস চর্চা করেন। এরপর ১৮৮২ থেকে ১৮৮৬ এ পাঁচ বছর দীর্ঘ পরিশ্রমের পর তিনি পবিত্র কোরআন শরীফ বাংলায় অনুবাদে সক্ষম হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সিনিয়র সচিব ও বিশিষ্ট সংস্কৃতিজন জনাব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট চিন্তক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ভাই গিরিশচন্দ্র সেনের মতো কিছু ক্ষণজন্মা মানুষ ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীল রাষ্ট্রের চিন্তা করেছিলেন। এজন্য ঐ সময়কে বাংলার রেনেসাঁ বললেও ভুল হবে না।
স্বাগত বক্তব্যে ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলেন, এ দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের জীবন ও কাজ সম্পর্কে আগামী প্রজন্মকে জানাতে হবে। এর ফলে তারা যে একটি গর্বিত জাতির অংশ, সেভাবে তারা নিজেকে বিবেচনা করতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩১ ঘন্টা; নভেম্বর ২৮, ২০১৭
এইচএমএস/এমএমএস