তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার। ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৬৪২- পর্তুগিজ নাবিক আবেল তাসমান নিউজিল্যান্ড আবিষ্কার করেন।
১৭৩৪- ইংল্যান্ড ও রাশিয়া বাণিজ্য চুক্তি করে।
১৮৭০- পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি দেশ দখলের উদ্দেশে ফ্রান্সের আগ্রাসী অভিযান শুরু হয়।
১৮৭৯- মুসলিম সমাজ সম্মিলনী সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা মাদরাসার প্রথম সুপারিনটেন্ডেন্ট ওবায়দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী।
১৮৮৯- বেলজিয়ামে নারী ও শিশুশ্রম বিষয়ে আইন জারি।
১৯২১- ওয়াশিংটন সম্মেলন সফলভাবে সমাপ্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স আর জাপানের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৩৭- চীনের নানচিং শহরে জাপানি সেনাবাহিনী গণহত্যা শুরু করে। বিশ্ব-কাঁপানো এ গণহত্যায় তিন লক্ষাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৮৮- কঙ্গোর ব্রাজাভিলে নামিবিয়ার স্বাধীনতা ও অ্যাঙ্গোলার শান্তিসংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করে অ্যাঙ্গোলা, কিউবা ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
২০০৩- ইরাকের সাবেক একনায়ক সাদ্দাম হোসেন দেশের উত্তরাঞ্চলীয় শহর তিকরিতের কাছে একটি গোপন আস্তানা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোটের হাতে গ্রেফতার হন।
জন্ম
১৯০৩- প্রখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক শিবরাম চক্রবর্তী।
কবিতা দিয়ে তিনি সাহিত্য জীবন সূচনা করেন। ১৯২৯ সালে প্রকাশিত হয় তার কবিতার কবিতার বই- ‘মানুস’ ও ‘চুম্বন’। এরপর প্রবন্ধ, নাটক ও অজস্র হাসির গল্প রচনা করেন। তার সর্বাধিক আলোচিত উপন্যাস ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’। তার অমর সৃষ্টি ‘হর্ষবর্ধন গোবর্ধনের গল্প’ আজও পাঠকমহলে সমানভাবে সমাদৃত। প্রবন্ধ, গল্পের পাশাপাশি তিনি কিছু রম্য গোয়েন্দাকাহিনীও লিখেছিলেন। তার গোয়েন্দার নাম কল্কেকাশি। ১৯৮০ সালের ২৮ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
১৭৯৭- জার্মান কবি হাইনরিখ হাইনে।
১৯৮৭- বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি।
মৃত্যু
১০৪৮- পারস্যের শিক্ষাবিদ, গণিতবিদ, জোত্যির্বিদ, পৃথিবীর প্রথম ইন্ডিওলজিস্ট আবু রায়হান মুহাম্মদ ইবনে আহমদ আল বিরুনী।
তার জন্ম ৯৭৩ সালে। তিনি অত্যন্ত মৌলিক ও গভীর চিন্তাধারার অধিকারী ছিলেন। তিনি ছিলেন গণিত, জ্যোতিঃপদার্থবিদ, রসায়ন ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে পারদর্শী। অধিকন্তু ভূগোলবিদ, ঐতিহাসিক, পঞ্জিকাবিদ, দার্শনিক এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান, ভাষাতত্ত্ববিদ ও ধর্মতত্ত্বের নিরপেক্ষ বিশ্লেষক। স্বাধীন চিন্তা, মুক্তবুদ্ধি, সাহসিকতা, নির্ভীক সমালোচক ও সঠিক মতামতের জন্য যুগশ্রেষ্ঠ বলে স্বীকৃত। তিনি সর্বপ্রথম প্রাচ্যের জ্ঞান-বিজ্ঞান, বিশেষ করে ভারতের জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতি মুসলিম মনীষীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।
১৫৬০- পোপ দ্বিতীয় ক্যালিস্টাস।
১৭৮৪- ইংরেজ লেখক ও অভিধান প্রণেতা স্যামুয়েল জনসন।
১৯৩০- ব্রিটিশবিরোধী বাঙালি বিপ্লবী বিনয় বসু।
১৯৯২- বাঙালি সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও সংগীত পরিচালক সতীনাথ মুখোপাধ্যায়।
১৯৯৬- চীনের নাটকের প্রতিষ্ঠাতা চাও ইউ।
২০১১- বাংলাদেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক কবীর চৌধুরী।
জীবন, শিল্প, সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি নানা বিষয় নিয়ে তিনি লিখেছেন। তিনি সরকার দেশের জাতীয় অধ্যাপক পদ লাভ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
টিএ/এএ