ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখা কারুশিল্পীদের কথকতা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখা কারুশিল্পীদের কথকতা কারুশিল্পীতে কর্মযজ্ঞ।

ঢাকা: প্লাস্টিক আর সিরামিক তৈরি গৃহস্থালি সামগ্রীর ভিড়ে বিলুপ্ত প্রায় কাঁসা ও পিতলের বাসনপত্র। এখনও কিছু সনাতন ধনাঢ্য পরিবার কাঁসা ও পিতলের বাসনপত্র ব্যবহার করছেন।

কারুশিল্পীতে কর্মযজ্ঞ। ঢাকার কেরানীগঞ্জের ঐতিহাসিক জিনজিরা এলাকায় এখনও বেশ কয়েকটি কারখানায় কারুশিল্পী কাঁসা-পিতলের তৈজসপত্র তৈরি করা হয়ে থাকে।

কারুশিল্পীতে কর্মযজ্ঞ। ওই কারখানাগুলোতে গেলে দেখা যাবে তপ্তরোদ ও আগুনের লেলিহানে কারুশিল্পীদের দেহের বর্ণ যেন পিতলের মতো হয়ে গেছে। কারুশিল্পীতে কর্মযজ্ঞ। পানি ও গ্যাসের লাইনের সংযোগস্থান, হাঁড়ি, পানির জগ, থালা, পানদানি, পিতলের তৈরি মূর্তি, তৈরি করতে আগুনের তাপ আর ঝলকানি সহ্য করতে হয় কারুশিল্পীদের। তারা প্রথমে পিতল খণ্ড আগুনে গলিয়ে বিভিন্ন তৈজসপত্র তৈরি ও নকশা করে। কারুশিল্পীতে কর্মযজ্ঞ। পোড়ানো পিতলের তৈজসপত্রগুলো আগুনের মতো বর্ণ ধারণ করছে। এরপর এগুলো পানিতে দিয়ে ঠাণ্ডা করা হচ্ছে। আগুন জ্বালাতে কয়লা ব্যবহার করা হয়। কারুশিল্পীতে কর্মযজ্ঞ। দূর থেকেই আগুনের লেলিহানের স্ফুলকি ছড়িয়ে পড়ছে। পিতলের তৈজসপত্র তৈরির কারখানাগুলো দেখতে অনেকটা কামারশালার মতো। কারুশিল্পীতে কর্মযজ্ঞ। কারুশিল্পীদের হাঁড় ভাঙা ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তৈরি করা হয় পিতলের তৈজসপত্র। তাদের প্রতিদিন সকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিশ্রম করতে হয়। কারুশিল্পীতে কর্মযজ্ঞ। বিনিময়ে প্রতিমাসে আয় মাত্র ১০ হাজার। যা দিয়ে বর্তমানে সংসার চালানো মুশকিল বলে জানালেন হারুন মিয়া। ১১ বছর ধরে এ পেশার সঙ্গে জড়িত তিনি। কারুশিল্পীতে কর্মযজ্ঞ। পিতলের তৈজসপত্র তৈরির কারুশিল্পী বেলাল বাংলানিউজকে বলেন, পিতলের তৈজসপত্রের কাজ অনেক কমে গেছে। অর্ডার পেলে তৈরি করি না পেয়ে বসে থাকি। অতীতের কারিগরদের বসে থাকার সময় ছিলোই না। বর্তমানে পিতলের তৈজসপত্রের ব্যবহার কমে যাচ্ছে। এজন্য অর্ডার না পেয়ে বসে থাকতে হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।