ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ফাল্গুনের পোশাকে সেজেছে ফ্যাশন হাউজগুলো

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২১
ফাল্গুনের পোশাকে সেজেছে ফ্যাশন হাউজগুলো ফাল্গুনের পোশাকে সেজেছে ফ্যাশন হাউজগুলো

ঢাকা: ফাল্গুন যেমন তারুণ্যের উৎসব, তেমনি তা প্রতিবাদ আর প্রতিরোধেরও। এই ফাল্গুনেই মাতৃভাষার জন্য লড়াই করে রাজপথে রক্ত ঝরিয়েছিলেন বাংলার দামাল ছেলেরা।

সেই অমর একুশের চেতনা আমাদের সংস্কৃতিতে এতটাই গভীর যে, আমরা আপাদমস্তক নিজেকে সাজাতে চাই মাতৃভূমির রঙে-রূপে। তাই একুশের দিনে, এই ফাল্গুনে, পোশাকেও থাকে একুশ। আর সেসব বিবেচনা করে ফ্যাশন হাউসগুলোও জানান দিচ্ছে তাদের প্রস্তুতির।

শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে তেমন চিত্রই। এই মার্কেটের ফ্যাশন হাউজগুলো ইতোমধ্যেই পসরা সাজিয়েছেন ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস আর অমর একুশকে উপলক্ষ করে। পোশাকে এনেছেন নানান রকম ডিজাইন।

মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, একুশের ভাবনার সঙ্গে মিল রেখে পোশাকে বর্ণমালার ব্যবহার, একুশের গান, কবিতা, স্লোগান ও বাংলা ভাষায় রচিত বিভিন্ন পঙক্তিমালা, শহীদ মিনার, মানচিত্র, পতাকাসহ একুশের বিভিন্ন চিত্রের নান্দনিক প্রকাশ ঘটেছে। এছাড়া ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসের নতুন পোশাক এনেছে ফ্যাশন হাউসগুলো। শাড়ি, কামিজ, টপ, পাঞ্জাবি ও শার্টে নানা ধরনের নকশা করে সাজানো হয়েছে বিশেষ এই পোশাক। রঙ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে নানা ধরনের উজ্জ্বল রঙ।

এ প্রসঙ্গে মার্কেটের রূপকথা ফ্যাশন হাউজের ম্যানেজার আল আমিন বলেন, আমরা প্রতিবছর ঋতুরাজ বসন্তের রঙের আদলে পোশাক তৈরি করে থাকি। আগে ঋতুর সঙ্গে মানিয়ে পোশাকের ব্যবহার খুব একটা দেখা যেত না। কিন্তু এখন দেশীয় অনেক ফ্যাশন হাউসই ঋতুর সঙ্গে মানিয়ে পোশাক তৈরি করছে। পহেলা ফাল্গুনকে সামনে রেখেও অনেক ফ্যাশন হাউসের পোশাক দেখা যায়। এটা আমাদের এক ধরনের সাংস্কৃতির বিপ্লব। এছাড়া একুশে উপলক্ষ্যেও রয়েছে ভিন্ন আঙ্গিকের পোশাক।

ফ্যাশন হাউজ নোঙ্গরের ম্যানেজার মো. সুমন বলেন, আমাদের ফাল্গুনের পোশাকের সম্ভার রয়েছে। এই পোশাক সম্ভারের মূল থিম ফুলেল নকশা। অর্থাৎ ফ্লোরাল মোটিফে অলঙ্কৃত হয়েছে পোশাকের জমিন। তিনটি রঙ হলুদ, কমলা আর লাল- এই ত্রয়ীর নানা শেডে উজ্জ্বল হয়েছে প্রতিটি পোশাক। মূলত ট্র্যাডিশনাল পোশাকই থাকছে এই কালেকশনে।

সম্ভার বসলেও এখনো ক্রেতারা সেভাবে আসা শুরু করেনি বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ। তাদের মতে করোনার রেশ এখনো পোশাক খাতে বর্তমান। তবে আসছে ১লা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস বা একুশে ফেব্রুয়ারিকে উপলক্ষ করে ক্রেতারা আসবেন বলেই মন্তব্য তাদের। বিশেষ করে ফ্যাশন হাউজ শাল মহুয়া, বিসর্গ, নিউ ক্র্যাপ্ট, অন্য রকম, কাপড় ই বাংলা, অতঃপর ইতোমধ্যেই নিয়ে এসেছে ফাল্গুন আর একুশের পোশাক।

আজিজ সুপার মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ফ্যাশন হাউসগুলো পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে এনেছে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ফতুয়া, পাঞ্জাবি ও শিশুদের পোশাক। অনেক ফ্যাশন হাউস একই রঙ ও নকশার পোশাক এনেছে কাপলদের জন্য। আবার অনেক ফ্যাশন হাউস কাপলদের সঙ্গে মিল রেখে শিশুদের জন্যও পহেলা ফাল্গুনের পোশাক এনেছে। অর্থাৎ পরিবারের সবার জন্যই একই রঙ ও নকশার পোশাক কেনা যাবে অনেক ফ্যাশন হাউস থেকে।

ফাল্গুনের শাড়ির দাম পড়বে ১ হাজার ২৫০ থেকে ৪ হাজার ৫০০, সালোয়ার-কামিজ ১ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০, ফতুয়া ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৫০০, পাঞ্জাবি ১ হাজার ২৫০ থেকে ৩ হাজার ৫০০, ফতুয়া ৭৫০ থেকে ১ হাজার ২৫০ এবং শিশুদের পোশাক ৭০০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ০২১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২১
এইচএমএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।