বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) ছিলো এর সপ্তম দিন। নাটক প্রদর্শনী এবং পদক প্রদান অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিলো দলের প্রয়াত দুই সদস্য আবুল কাশেম দুলাল ও গাজী জাকির হোসেনের নামাঙ্কিত স্মৃতিপদক অনুষ্ঠান।
যথাক্রমে এবারের এ স্মৃতি পদক পেয়েছেন চট্টগ্রামের তির্যক নাট্যদলের আহমেদ ইকবাল হায়দার ও সুবচন নাট্য সংসদের আহম্মদ গিয়াস।
এদিন সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে স্মৃতিপদক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ঝুনা চৌধুরী এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও উৎসব কমিটির আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ।
স্মৃতিপদক দেওয়া শেষে ঢাকা পদাতিক মঞ্চায়ন করে নাটক ‘পাইচো চোরের কিচ্ছা’। এ নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- কাজী শিলা, কিরণ, আলামিন, তন্দ্রা, শ্যামল, দেবাশীষ বড়ুয়া প্রমুখ।
বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় লোককাহিনী অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে নাটকটি। এর কাহিনী সংগ্রহ, নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন কাজী চপল। এতে উঠে এসেছে রূপকথার গল্পের মতো পাইচো চোরের নানা কর্মকাণ্ড। এতে বিজয় সরকার, আলেক মাতুব্বর, মোসলেম বয়াতীসহ খুলনা এলাকার অসংখ্য লোককবি ভাটিয়ালি সুরের ভাব-রস উপস্থাপিত হয়েছে।
নাটকের কাহিনিতে দেখা যায়, কোনো এক দেশের রাজার মেয়ের নাম ছিলো মহেশ্বরী। উজিরের পরামর্শে মহেশ্বরীর দেখভালের জন্য রাজা পাশের গ্রামের এক বুড়ির ছেলে কোটেকে নিযুক্ত করেন। একদিন কোটে এক সন্ন্যাসীর মাধ্যমে জানতে পারে যে তার সঙ্গেই মহেশ্বরীর বিয়ে। এই কথা শুনে বেজায় রেগে মহেশ্বরী কোটেকে দেশছাড়া করেন। কোটে যে দেশে উপস্থিত হয়, ভাগ্যক্রমে সেই দেশের রাজাও হয়ে যায় সে। আর তখনই সে মহেশ্বরীকে চুরি করে আনার জন্য পাইচো নামক এক চোরকে নিযুক্ত করেন। পাইচো চোর নানা রকম ফন্দি ফিকির করে মহেশ্বরীকে চুরি করে তুলে দেয় কোটের হাতে। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনি।
লোকজ নাটকটি দেশীয় ঢঙে গল্পের ভঙ্গিতে মঞ্চে অভিনয়ের মাধ্যমে উপস্থাপন করছেন কুশীলবরা। লোক কাহিনীর সারাংশ অনুসরণ করে পালাগানের মতো করে নির্মাণ করা হয়েছে পাইচো চোরের কাহিনী। যেখানে সুর ও নৃত্যের মধ্য দিয়ে পাইচো নিজেই বর্ণনা করবেন তার বিভিন্ন গল্প।
শুক্রবার (১৬ মার্চ) উৎসবের সমাপনী দিনে লোকনাট্যদল (সিদ্ধেশ্বরী) মঞ্চায়ন করবে ‘কঞ্জুস’।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৮
এইচএমএস/জিপি