ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

নারী অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

প্রথম ম্যাচ জিতে ফাইনালে এক পা রাখতে চায় বাংলাদেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪
প্রথম ম্যাচ জিতে ফাইনালে এক পা রাখতে চায় বাংলাদেশ

আগামীকাল থেকে শুরু সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশ অংশগ্রহণ করছে।

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল। তাদের বিপক্ষে জয় নিয়ে এগিয়ে থাকতে চান কোচ সাইফুল বারী টিটু।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় বসেছিল সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসর। ওই আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে বাংলাদেশ দুইবার হারিয়েছিল ভারতকে। লিগ পর্বে ও ফাইনালে বাংলাদেশের জয়ের ব্যবধান ছিল ১-০। কিন্তু ওই আসরে নেপালকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে নেপাল গোলশূন্য ড্র করে আটকে দিয়েছিল স্বাগতিক মেয়েদের। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত শিরোপা জয়ের উদযাপন করেছে।  

এবার প্রথম ম্যাচে জয় নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করলেন টিটু। আজ বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ম্যাচ বাই ম্যাচ আমরা এগোবো। প্রথম ম্যাচটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা জিতলে ফাইনালে দিকে এক পা দিয়ে রাখা হবে। ঐ ম্যাচটা সিরিয়াসলি নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। ’

‘নেপালের বিপক্ষে আমাদের প্রথম ম্যাচ। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কারণ নেপালের কোনো ভিডিও নেই আমাদের কাছে। খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতার ওপরই আমরা ভরসা করছি। নেপালের বর্তমান খেলোয়াড়দের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা দলের খেলোয়াড়দের নেই বলে জানিয়েছে তারা। প্রথম ম্যাচটা ভাইটাল এই জন্য বলছি, দ্বিতীয় ম্যাচের আগে আমরা ভারতের খেলা দেখতে পাবো ভুটানের সাথে। সেক্ষেত্রে আমরা তাদের নিয়ে অ্যানালাইসিস করতে পারবো। প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে আমরা সেই সুযোগটা পাচ্ছি না। ’

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ গত আসরের চ্যাম্পিয়ন। সেই আসরে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করিয়েছিলেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। ছোটন দায়িত্ব ছেড়েছেন। এরপর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে কাজ করছেন সাইফুল বারী টিটু। সিনিয়র নারী দলের পর এখন জুনিয়র দলের কোচ।  

চার দলের কোচের মধ্যে বাংলাদেশের সাইফুল বারী টিটুই সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ। এই টুর্নামেন্ট শিরোপা ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ কি না এই প্রসঙ্গে সাইফুল বারী টিটু বলেন, ‘এখানে এক্সপেরিয়েন্স বা অন্য কোনও প্রেশার আমি নিতে চাই না। এখানে সব কিছুই খেলোয়াড়দের উপর নির্ভর করে। আপনি অনেক কিছুই জানেন কোচিংয়ের কিন্তু আপনার খেলোয়াড় নাই। তাহলে ঐভাবে কাজ করাটা মুশকিল। কোন খেলোয়াড়কে কোথায় খেলাতে হবে, সেটা অভিজ্ঞতা থেকেই চলে আসে। অনবরত করতে করতে এটার একটা অটোমেশন হয়ে যায়। কোচ খেলোয়ড়ারদের ইনফরমেশন দেবে। কিন্তু খেলে দিতে পারবে না। মাঠে খেলোয়াড়দেই খেলতে হবে। আমি মনে করি দলের সকলেই প্রস্তুত আছে। মানসিক ভাবে তারা বেশ শক্তিশালী। তারা মাঠে ভালো ফল করে দেখাতে পারবে। ’

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের অধিনায়ক আফইদা খন্দকার আগের কথার পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন, ‘প্রথম ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। নেপালের বিপক্ষে জিতে আমরা ফাইনালের পথে থাকতে চাই। সেই লক্ষ্যেই মাঠে খেলবো। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪
এআর/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।