ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

বাফুফে সেন্টার ফর অ্যাক্সিলেন্স

ইএসআইএ রিপোর্ট ফিফায়, অনুমোদনের অপেক্ষা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৪
ইএসআইএ রিপোর্ট ফিফায়, অনুমোদনের অপেক্ষা

কক্সবাজারের জঙ্গল খুনিয়াপালং সংরক্ষিত বনে একটি আবাসিক প্রশিক্ষণ একাডেমি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ফিফার অর্থায়নে নির্মিত হতে যাচ্ছে ‘বাফুফে সেন্টার ফর অ্যাক্সিলেন্স’।

সরকার ইতোমধ্যে সংরক্ষিত বনের ২০ একর জায়গা ডি-রিজার্ভ করে বাফুফেকে বরাদ্দ দিয়েছে। সেখানে নির্মান কাজ শুরু করার অনুমোদনের আগে ফিফা একটা ইএসআইএ (ইনভাইরোনমেন্ট সোস্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যানালাইসিস) রিপোর্ট চেয়েছিল। সেই রিপোর্ট তৈরি করেছে বাফুফে। পাঠানো হয়েছে ফিফার কাছে। এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ফিফা তাদের অনুমোদন দিবে। এমনটাই জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার।

আজ বাফুফে ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক। সেখানেই জানান কক্সবাজারে নির্মিতব্য বাফুফে সেন্টার ফর অ্যাক্সিলেন্সের অগ্রগতির কথা। তিনি বলেন, ‘ফিফার অর্থায়নে কক্সবাজারের খুনিয়াপালংয়ে একটা বাফুফে এক্সিলেন্স অ্যাকাডেমি হতে যাচ্ছে। সেখানে কাজের জন্য ফিফা একটা ইএসআইএ (ইনভাইরোনমেন্ট সোস্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যানালাইসিস) রিপোর্ট চেয়েছিল। ঐটা আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে প্রস্তুত করেছি। সেখান থেকে আমরা ইতিবাচক রিপোর্ট পেয়েছি। এটা আমরা ফিফার কাছে পাঠিয়েছি। সেখানে কিছু শর্ত আছে, যেগুলো সম্পন্ন করলে আমরা কাজ করতে পারবো। ’

ইএসআইএ এর সবচেয়ে সহজ সংজ্ঞা হল ‘পরিবেশগত এবং সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন। একটি প্রকল্পের সম্ভাব্য পরিবেশগত এবং সামাজিক ঝুঁকি এবং প্রভাবগুলির একটি বিস্তারিত নথি ৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে করা ইএসআইএ রিপোর্টে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। সেই শর্তপূরণ সাপেক্ষে এবং ফিফার অনুমোদন পেলে বাফুফে কক্সবাজারে সেই আবাসিক প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমি করতে পারবে।  

ইএসআইএ রিপোর্টের শর্তগুলো নিয়ে ইমরান বলেন, ‘বরাদ্দকৃত জমির বাইরে কোনও স্থাপনা করা যাবে না। আমাদের যে ২০ একর যায়গা রয়েছে তার মধ্যেই করতে হবে। আমাদের কাজের জন্য যতগুলো গাছ কাটা হবে তার দিগুন কিংবা বেশি গাছ আমাদের রোপন করতে হবে। সেখানে বেশ কিছু হাতি আছে। তাদের খাবারের জন্য গহীন অরণ্যে আমাদের কিছু কাঠাল গাছ, কলা গাছ এসব রোপন করতে হবে। এছাড়া বেশ কিছু সরীসৃপ প্রানী রয়েছে, তাদের জন্য আমাদের কিছু জলাশয় তৈরি করে দিতে হবে। তারা যেন খাবার পায় সেই ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। এছাড়া সেখানকার স্থানীয় লোকজনদের আমাদের প্রজেক্টের মধ্যে সম্পৃক্ত করতে হবে। সেটা হোক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে কিংবা স্থানীয়দের ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার ব্যবস্থা করে। ’

আগস্ট মাসের শেষের দিকে ফিফা থেকে উত্তর পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী তুষার। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই ফিফার কাছে এই রিপোর্টটা পাঠিয়েছি। আমরা আগষ্টের শেষ দিকে ফিফা থেকে উত্তর পাবো বলে আশাবাদী। ’

এই সেন্টার ফর অ্যাক্সিলেন্স তৈরিতে ৩.৩ মিলিয় ইউএস ডলার বিনিয়োগ করবে ফিফা। সেখানে দুই থেকে তিনটি মাঠ এবং আবাসিক ভবন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বাফুফের। থাকতে পারে আর্টিফিশিয়াল টার্ফও। তবে এখনই কোনও কিছু চূড়ান্ত না। সব কিছুই রয়েছে পরিকল্পনা পর্যায়ে। ফিফা অনুমোদন দিলে কনসালটেন্ট নিয়োগ দেবে বাফুফে। এরপর হবে চূড়ান্ত পরিকল্পনা। এই পক্রিয়া শেষ হবে কতদিন লাগবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান বলেন, ‘সেটা আসলে ফিফা যদি অনুমোদন দেয় তবে তারাই সময় নির্ধারণ করে দিবেন। এখনই সময় নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৪
এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।