টেকনিক্যালি হোক বা ট্যাকটিক্যালি- দুই দিক থেকেই বাংলাদেশকে নিজেদের চেয়ে ওপরে দেখছেন নেপাল কোচ রাজেন্দ্র তামাং। ফাইনালের আগে যা অকপটেই স্বীকার করে নিলেন তিনি।
সাফের ফাইনালে গত আসরেও বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছিল নেপাল। এই দশরথ স্টেডিয়ামেই সেবার ৩-১ গোলে হারে তারা। কিন্তু অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার নতুন ইতিহাস গড়তে উন্মুখ রাজেন্দ্র। অপরাজিত থেকেই এবার ফাইনালে উঠেছে তার দল।
বাংলাদেশও হারেনি কোনো ম্যাচ। আসরের শুরুটা পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র দিয়ে হলেও পরের ম্যাচে ভারতকে উড়িয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেন পিটার বাটলারের শিষ্যরা। আর সেমিফাইনালে গোলবন্যায় ভাসায় ভুটানকে।
তাই ইংলিশ কোচের অধীনে থাকা এই বাংলাদেশকে নিয়ে সতর্ক রাজেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘গতবার আমরা তাদের বিপক্ষে ফাইনাল খেলেছিলাম, আমাদের কিছু ট্যাকটিক্যাল ভুল হয়েছিল বলে হেরেছিলাম। আশা করি, এবার সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না। অতীত অতীই। তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েছি আমরা। ’
‘ইংলিশ কোচের অধীনে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল, তাদের খেলার স্টাইল ইংলিশদের মতো। তাই এটা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে আমাদের। ঘরের মাঠে খেলা বলে যদিও সমর্থকদের পাশে পাওয়ার সুবিধা আমাদের পক্ষে থাকবে, কিন্তু টেকনিক্যালি এবং ট্যাকটিক্যালি এগিয়ে থাকা বাংলাদেশকে নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে আমাদের। ’
ফাইনালে দর্শকদের প্রতি বার্তা দিয়ে নেপালের গোলরক্ষক কাম অধিনায়ক আঞ্জিলা তুম্বাপো সুব্বা বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে অভাবনীয়ভাবে সমর্থকদের পাশে পেয়েছি আমরা। গ্যালারিতে, গ্যালারির বাইরেও তারা আমাদের সমর্থন দিয়ে গেছেন। ’
‘যখন রেখা লাল কার্ড দেখল, আমরা ১০ জনের দলে পরিণত হলাম, কিন্তু সমর্থকরা পাশে থাকায় আমাদের কখনও মনে হয়নি আমরা ১০ জন নিয়ে খেলছি। মনে হয়েছিল ভারতের ১১ জনের বিপক্ষে আমরাও ১১ জন খেলছি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ফাইনাল নিয়ে আমরা দারুণ অনুপ্রাণিত। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
এএইচএস