আজ দুই শহরেই বৃষ্টি হতে পারে। ঢাকায় আর রিও'তে ।
আজ যে সাকিবরা খেলতে নামছেন মিরপুর স্টেডিয়ামে, ভারত ক্রিকেট দলের বিপক্ষে। অসময়ে বৃষ্টি নামলে ম্যাচ ছোট হবে নয়তো ভেসে যাবে।
ধরে নিলাম খেলা হবে নির্বিঘ্নে। হলে, খেলা শেষ হতে না হতেই ব্রাজিলে শুরু হয়ে যাবে ফুটবল বিশ্বকাপের চতুর্থ দিনের আসর। এদিন, তিন খেলার শেষটায় মাঠে নামবে বিশ্বময় জনপ্রিয় আর্জেন্টিনা।
রিও ডি জেনিরো'র মারাকানা স্টেডিয়ামে তাদের প্রতিপক্ষ ইউরোপের বসনিয়া-হারজেগোভিনা।
ঢাকায় ক্রিকেট খেলা শেষ হতে বেজে যাবে রাত সাড়ে আটটা-ন'টা। এর সাত-সাড়ে সাত ঘন্টা পর মাঠে নামছেন লিওনেল মেসি আর তার দল। ততক্ষনে বাংলাদেশে রাত শেষের পথে। আর রিও'তে যদি লাগাতার বৃষ্টিও হয় ক্ষতি নেই। বৃষ্টিতে ফুটবল বন্ধ হয়না ক্রিকেটের মতো।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের অবস্থাটা একবার ভাবুন! পঞ্চাশ-পঞ্চাশ মিলে ১০০ ওভারের (সম্ভাব্য) ম্যাচ শেষ করে তিনটা ফুটবল খেলা দেখা!
বিষয়টা যতোটা আনন্দের ততোটা ক্লান্তিরও তো । সব ক্লান্তিই কেটে যাবে বাঙালির- যদি মিরপুরে ঝলসে ওঠেন সাকিব আর তার সঙ্গীরা।
রাতজাগার সব পেরেশানিই দূর হয়ে যাবে যদি যথারীতি জ্বলে ওঠেন মেসি, জিতেও যায় আর্জেন্টিনা।
এককথায়, বাংলাদেশের কোটি খেলাপ্রিয় মানুষের বিশাল প্রত্যাশা থাকবে এই দুই তারকা মানে ঘরের সাকিব আর পরের মেসি'র ওপর। প্রিয় দলের জয়তো থাকছেই চাওয়ার শীর্ষে ।
লেখার কথা ছিলো ফুটবল, এসে গেল ক্রিকেটও। কি করবো বলুন, ক্রিকেটতো আমাদের জাতীয় জীবনের অংশ এখন । সাকিব আল হাসান নামের আন্তর্জাতিক তারকাও আছেন বাংলাদেশে। তার উপরে বাংলাদেশ খেলছে আজ পরাশক্তি(ঢাকায় আসা দলটা 'আধাশক্তি') ভারতের সঙ্গে।
আজ আরেকটা মজার ব্যাপার ঘটছে বাংলাদেশে। দেশে গত কয়েক দিন ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার পতাকা দেখতে দেখতে যারা 'টায়ার্ড' হয়ে পড়েছিলেন, বাংলাদেশেরটাও দেখবেন তারা আজ। ঘর-বাড়িতে, দোকান-পাটে, খেলা দেখতে যাওয়া দর্শকের হাতে।
পতাকা দেখে নাকি দেশ চেনা যায়। তাহলে বাংলাদেশকে তো বাংলাদেশের মতোই লাগবে আজ, ব্রাজিল আর্জেন্টিনার মতো না। এবং তা ক্রিকেটের কারনেই!
বাংলাদেশের আধুনিক স্পোর্টস সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মনে করা হয় তাকে। বর্তমানে কানাডার মন্ট্রিয়লে থাকেন। তবে এখনও স্পোর্টস এবং লেখালেখি তার হ্রদস্পন্দনের সাথেই যেনো মিশে আছে। বিশ্বকাপ ফুটবলের এবারের আয়োজনে ফরহাদ টিটো লিখছেন বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য।
বাংলাদেশ সময় ০৯৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৪