ঢাকা: ব্রাজিল ভক্তরা নিজের দলকেই নিয়েই ব্যস্ত। আজ নেইমার কেমন খেলবে, অস্কার আগের দিনের মতো খেলতে পারবে তো? অথবা হাল্ক কি আজ ফিরে পাবে নিজের ছন্দ।
স্বাগতিকরা অপেক্ষায় রয়েছেন তারকা খেলোয়াড় নেইমারের হাত ধরে বিশ্বকাপটা ঘরেই রেখে দেবেন। শক্তির বিচারে ও স্বাগতিক হওয়ায় ব্রাজিলকে নিয়ে এই আশাবাদে কার্পণ্য নেই দলের ভক্তদের।
সমর্থকদের এমন ভাবনা দোষেরও কিছু নয়। বিশেষ করে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ যখন মেক্সিকো। প্রতিপক্ষ এমন কোনো শক্তিশালী দল নয়। মেক্সিকোর মতো দলের বিরুদ্ধে জয় আসবে নিশ্চিত -এমন চিন্তা ও পরিকল্পনা এঁটেই সবাই মাঠে গিয়েছে। খেলোয়াড়েরা হয়তো কিছুটা নির্ভার। কিন্তু ক্যামেরনের বিপক্ষে মেক্সিকোর ম্যাচ কি কেউ দেখেছেন। যদি কেউ দেখে থাকেন তাহলে মাথায় চিন্তার রেখা ফুটে উঠবেই।
ব্রাজিলের যেমন রয়েছে নেইমার, তেমনি মেক্সিকোরও রয়েছে জিওভানি দস সান্তোস রামিরেজ। নেইমারকে নিয়ে যদি আলোচনা হয়, তাহলে সান্তোসকে নিয়েও আলোচনার খোরাক আছে। সান্তোস ক্যামেরনের বিপক্ষে নয় বহু আগেই তার জাত চিনিয়েছেন। জাতীয় দলের হয়ে এক বছরেই ১৪টি গোলের রেকর্ড রয়েছে। লা লিগায় ভিলা রিয়েলের হয়েও ১১টি গোল করছেন ২০১৩ সালে। এতো গেল অতীত ইতিহাস।
এ বিশ্বকাপেই তো চমৎকার পারফরম্যান্স। ২৫ বছর বয়সী এ মেক্সিকান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার দলের পক্ষে প্রথম ম্যাচেই ক্যামেরনের বিরুদ্ধে ১০ মিনিটের মাথায় গোল করে বসেন। লাইন্সম্যান অফসাইড থেকে ওই যাত্রায় রক্ষা করে ক্যামেরনকে। পরে রিপ্লেতে দেখা যায়, সান্তোস অফসাইড ছিলেন না। ২৯ মিনিটে সান্তোস আবারো গোল করেন। এবারও অফসাইডের কল্যাণে গোল থেকে বঞ্চিত হন লা লিগায় ভিলারিয়েলের হয়ে খেলা সান্তোস রামিরেজ।
শেষ পর্যন্ত ওই ম্যাচে গোল না পেলেও মাঠে উপস্থিত দর্শকরা দেখেছেন তার আক্রমণাত্মক খেলা। জাতীয় দলের হয়ে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখা বার্সা ক্লাবের সাবেক খেলোয়াড় সান্তোস আজও সেই প্রতিভার ঝলকানি যদি দেখান তবে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আর এটি স্বাগতিক ব্রাজিলের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ সান্তোসের ঝলসে ওঠা নামেই মেক্সিকোর পক্ষে গোল।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৪