ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে অ্যাতলেতিকো

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৪ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৬
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে অ্যাতলেতিকো ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে প্রথম লেগে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকা দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা আতিথ্য নিয়ে অ্যাওয়ে ম্যাচে গোলের সুবাদে ফাইনালের টিকিট কাটে।

২-১ গোলে জিতলেও ফাইনালের মঞ্চে তাই জার্মান সেরাদের ওঠা হলো না।

২-২ অ্যাগ্রিগেটে শেষ হওয়া সেমি-ফাইনালের ম্যাচে বায়ার্নের হয়ে গোল করেন জাভি অলোনসো এবং রবার্ট লেভানোডফস্কি। আর অ্যাতলেতিকোর হয়ে একমাত্র গোলটি করেন অ্যান্তোনি গ্রিজম্যান।

বায়ার্ন মিউনিখের ঘরের মাঠ অ্যালিনাজ অ্যারেনায় সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে আতিথ্য নেয় অ্যাতলেতিকো। বুধবার (০৪ মে) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত পৌনে একটায় ম্যাচটি শুরু হয়।

এর আগে ঘরের মাঠ ভিসেন্তে দেল কালদেরনে সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে ১-০ গোলের জয়ে এগিয়ে ছিল দিয়েগো সিমিওনের অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। ১১তম মিনিটে সাউলের দেওয়া একমাত্র গোলে জয় পায় তারা। ফলে, ১-০ গোলের অ্যাগ্রিগেটে এগিয়ে থেকে পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের বিপক্ষে মাঠে নামে অ্যাতলেতিকো।

৪-৪-২ ফরমেশনে অ্যাতলেতিকোর হয়ে শুরুর একাদশে মাঠে ছিলেন ওব্লাক, হুয়ানফ্রান, জিমিনেজ, দিয়েগো গডিন, লুইজ, কোকে, গ্যাবি, ফার্নান্দেজ, সাউল, অ্যান্তোনি গ্রিজম্যান আর ফার্নান্দো তোরেস। অপরদিকে, ৪-৫-১ ফরমেশনে বায়ার্নের হয়ে প্রথম একাদশে মাঠে নামেন ম্যানুয়েল ন্যুয়ের, ফিলিপ লাম, মার্টিনেজ, বোয়েতাং, আলাবা, কস্তা, থমাস মুলার, জাভি অলোনসো, ভিদাল, ফ্রাঙ্ক রিবেরি আর লেভানোডফস্কি।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে যায় বায়ার্ন। ঘরের মাঠে স্বাগতিক দর্শকদের উপস্থিতিতে প্রথমার্ধেই গোলের দেখা পায় জার্মান জায়ান্টরা। একাধিক প্রচেষ্টা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হলেও গার্দিওলার শিষ্যরা ম্যাচের ৩১তম মিনিটে লিড নেয়। জাভি অলোনসোর গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন।

প্রথমার্ধে আরও একটি গোলের দেখা পেতে পারতো স্বাগতিকরা। প্রথম গোলের তিন মিনিট পর পেনাল্টি লাভ করে বায়ার্ন। ৩৪ মিনিটের মাথায় পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন থমাস মুলার। তার নেওয়া শটটি প্রতিহত করেন অ্যাতলেতিকোর গোলরক্ষক ওব্লাক। ফলে, ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় জার্মানরা।

বিরতির পর দ্রুতই ম্যাচে ফেরে অ্যাতলেতিকো। স্প্যানিশ জায়ান্টদের সমতায় ফেরান অ্যান্তোনি গ্রিজম্যান। তোরেসের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন তিনি। ফলে, ১-১ এ সমতায় ফেরে ম্যাচ।

৭৪ মিনিটের মাথায় আবারো এগিয়ে যায় বায়ার্ন। আরতুরো ভিদালের সহযোগিতায় দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন লেভানোডফস্কি। ২-১ এ এগিয়ে গেলেও ২-২ এর অ্যাগ্রিগেটে ঝুলতে থাকে দুই দল। তাতে আতিথ্য নেওয়া অ্যাতলেতিকোর দিকেই ম্যাচ হেলে থাকে।

ম্যাচের ৮৪ মিনিটের মাথায় আরেকবার গোলের সুযোগ পায় অ্যাতলেতিকো। এবারে পেনাল্টির থেকে পাওয়া সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেননি তোরেস। তার নেওয়া শট রুখে দেন জার্মান দেয়াল খ্যাত ম্যানুয়েল ন্যুয়ের।

ম্যাচের শেষ দিকে জোর প্রচেষ্টা চালিয়েও ২-২ অ্যাগ্রিগেটে থাকা ম্যাচ নিজেদের দখলে নিতে পারেনি স্বাগতিক বায়ার্ন। ম্যাচের বাকি সময়ে কোনো গোল করতে পারেনি তারা। ফলে, হোম ম্যাচে গোলের পর ফিরতি লেগে আতিথ্য নিয়ে অ্যাওয়ে ম্যাচে গোলের সুবাদে ফাইনালের টিকিট কাটে স্প্যানিশ জায়ান্ট অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল ম্যাচে আরেক স্প্যানিশ ফেভারিট রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ফাইনালের মঞ্চে লড়বে অ্যাতলেতিকো।

এবারের আগে ১৯৭৪ সালে ইউরোপিয়ান কাপে শেষবার অ্যাতলেটিকোর মুখোমুখি হয়েছিলো জার্মান সেরা বায়ার্ন। সেবার প্রথম লেগে ১-১ গোলে ড্র করলেও ঘরের মাঠে ফিরতি লেগে ৪-০ ব্যবধানে জয় পায়। ফলে, চার দশক আগের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিলেও পুরনো হিসেব মেটানোর কিছুটা বাকিই ছিল অ্যাতলেতিকোর।

এদিকে অ্যাতলেটিকো এবার ফাইনালে উঠে শেষ তিন মৌসুমের মধ্যে দুইবারই ফাইনালের মঞ্চে উঠলো। ২০১৩-১৪ মৌসুমে ফাইনালে উঠেও প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জেতা হয়নি। সেবার নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে ট্রফির স্বাদ নিতে পারেনি দলটি।

বাংলাদেশ সময়: ০৩০৩ ঘণ্টা, ০৪ মে ২০১৬
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।