ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

আবাহনীতে স্বপ্নভঙ্গ শেখ রাসেলের

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৬
আবাহনীতে স্বপ্নভঙ্গ শেখ রাসেলের ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে: সেমিফাইনালে এসে থামলো শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের শিরোপার স্বপ্ন। শুক্রবার (২৪ জুন) ফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আবাহনী লিমিটেডের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নিল মারুফুল হকের শিষ্যরা।

ছয় বছর পর ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠলো আবাহনী।

 

আগামী সোমবার (২৭ জুন) ফাইনালে আরামবাগ ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে খেলবে আবাহনী লিমিটেড। এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে টিম বিজেএমসিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ১৫ বছর পর ফেডারেশন কাপের ফাইনালে ওঠে আরামবাগ।

 

গ্রুপপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউট পর্বে পা রাখে শেখ রাসেল। কোয়ার্টার ফাইনালে রহমতগঞ্জকে সহজে হারিয়ে (১-০) ওঠে সেমিতে। তবে সেমিফাইনালে আজ আবাহনীর কাছে পেরে ওঠেনি দলটি। ৯০ মিনিটের এ লড়াইয়ে দাপট দেখিয়েই জিতেছে আবাহনী।

ম্যাচ শুরুর ৪ মিনিটের মাথায় সারা চামারার গোল এগিয়ে দেয় (১-০) আবাহনীকে। ওয়ালি ফয়সালের ফ্রি-কিক ডি-বক্সে পৌঁছালে সেখানে হালকা জটলার সৃষ্টি হয়। সানডে চিজোবার ব্যাক শিফট সেনেগালের ফরোয়ার্ড সারাহ চামারার কাছে পৌঁছালে হেডে বল জালে জড়ান তিনি। ১-০ তে এগিয়ে গিয়ে উল্লাসে মাতে আকাশী-নীল জার্সিধারীরা।

এরপর ম্যাচের ৭ ও ৯ মিনিটে শেখ রাসেল শিবিরে আরও দুটি আক্রমণ রচনা করে আবাহনী। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তখন আবাহনীর। অথচ ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো শেখ রাসেল। দ্বিতীয় মিনিটেই ডানপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণ করে ফিকরু তেফেরা। বল নিয়ে গোলপোস্টের খুব কাছে চলে যান ইথিওপিয়ার এই ফরোয়ার্ড। তবে শটটি জোরালো না হওয়ায় গোলের দেখা পায়নি শেখ রাসেল। এরপর একচেটিয়া খেলে যায় আবাহনী।

৩৫ মিনিটে মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়ার গোলবারে জোরালো শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ওই আক্রমণটির পর ছন্দে ফেরে শেখ রাসেল। পরের মিনিটে নাসিরুল ইসলাম নাসিরের দূরপাল্লার ‍দুর্দান্ত শটটি অল্পের জন্য গোলবার ছোঁয়নি। স্কোরলাইন ১-০ রেখে আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে শেষ হয়ে প্রথামার্ধের খেলা।

দ্বিতীয়ার্ধের ১৮ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনেন (১-১) শেখ রাসেলের ফরোয়ার্ড রুম্মন হোসেন। বক্সের মধ্যে পল এমেলি ডানে বাড়িয়ে বল দেন রুম্মনকে। সামনে বাড়িয়ে চতুরতার সঙ্গে আবাহনীর জালে বল জড়ান রুম্মন। সমতা অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি শেখ রাসেল।

দ্বিতীয়ার্ধের ২৪ মিনিটে সানডের গোলে লিড (২-১) নেয় আবাহনী। একক প্রচেষ্টায় ডি-বক্সের শেষ প্রান্ত থেকে কোনাকুনি শটে পরাস্ত হন শেখ রাসেল গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল। সানডের করা ওই গোলটিই ৬ বছর পর ফাইনালে নিয়ে যায় আবাহনীকে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ২৪ জুন ২০১৬
এসকে/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।